চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব পান নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দলীয়ভাবে সাফল্য পেলেও ব্যাট হাতে রান পাচ্ছিলেন না এই তারকা। যার কারণে তাকে নিয়ে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। এবার সমালোচনার মুখেই অধিনায়ত্ব থেকে সরে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই ব্যাটার।
এক বিসিবি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ বলছে, চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পরেই অধিনায়ত্ব ছেড়ে দিতে চান শান্ত। তবে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
জাতীয় দলে অভিষেকের পর থেকে ব্যাট হাতে অনেক স্ট্রাগল করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে ধীরে ধীরে ছন্দ ফিরে পেয়েছেন এই তারকা। ব্যাট হাতে গত বছরটা কাটিয়েছেন স্বপ্নের মতো। ২০২৩ সালে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। তবে দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ছন্দপতন হয় তার।
আরও পড়ুন:
» দ্বিতীয় টেস্টের উদ্দেশ্যে চট্রগ্রামে পৌঁছেছে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা
» বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হলেন তাবিথ আউয়াল
তবে বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমের মতে, অতিরিক্ত চাপ ও সমালোচনার কারণেই অধিনায়কত্ব করাটা কঠিন হচ্ছে শান্তর জন্য। তিনি মনে করেন, আমাদের সমালোচনাই তার দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করছে।
আজ (শনিবার) বিকেলে মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফাহিম বলেন, ‘শান্তর মতো একজন খেলোয়াড়ই আমাদের কারণে অধিনায়কত্ব করতে পারছে না। এদেশে অধিনায়কের ওপর সবসময় চাপে থাকে। পারফরম্যান্স ভালো না হলে আমরা তাকে নিয়ে যে পরিমাণ সমালোচনা করি, যেভাবে সমালোচনা করি, এতে তার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। হয়ত তার ছন্দপতনের কারনও এটাই।’
শান্ত একজন তরুণ ক্রিকেটার। এই বয়সেই তিন ফরম্যাটের দায়িত্ব সামলানোটা শান্তর জন্য অনেকটা কঠিন হয়ে যায়। তাই সবার শান্তর পাশে থাকা উচিত ছিল বলে মনে করেন এই বিসিবি কর্তা, ‘আমার মনে হয় ওর পাশে থেকে ওকে সহযোগিতা করা খুব প্রয়োজন ছিল। সে বাংলাদেশের মতো একটা দলের অধিনায়ক। এই দল খুব অধারাবাহিক। সে নিজেও একজন তরুণ খেলোয়াড়। ওর ব্যাপারে আরেকটু সহানুভূতিশীল হওয়া প্রয়োজন ছিল। আর শান্ত সরে দাড়ালে তার পরিবর্তে যে আসবে সে তো একই ব্যাপারের মুখোমুখি হবে।’
ক্রিফোস্পোর্টস/২৬অক্টোবর২৪/বিটি