বাংলাদেশ নারী ফুটবলে অবহেলার গল্প হর হামেশাই শোনা যায়। দেখা গেছে বয়সভিত্তিক দলে আলো ছড়িয়ে জাতীয় দলে খেলার পর্যাপ্ত সুযোগ না পেয়ে পারিবারিক কোনো চাপ অথবা আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে একটা সময় পর ছিটকে যেতে হয় নারী ফুটবলারদের। তেমনই এক নাম হতে পারত তহুরা খাতুন। একসময় ফুটবলই ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করেছিলেন তিনি। তবে দলে সুযোগ পেয়েই নিজেকে মেলে ধরেছেন এই ফরওয়ার্ড।
বয়সভিত্তিক দলে ভালো খেলে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন তহুরা। তবে সিরাত জাহান স্বপ্না ও কৃষ্ণা রানী সরকার থাকায় শুরুর একাদশে খেলার সুযোগ মিলছিল না এতদিন তার। গেল মাসে সিরাত জাহান হঠাৎ করে অবসর নিলে এবং কৃষ্ণা রানী ইনজুর হলে শুক্রবার সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে শুরুর একাদশে জায়গা পান তিনি।
সুযোগ পেয়েই ঝলক দেখিয়েছেন তহুরা। এদিন বাংলাদেশের হয়ে করেছেন ২টি গোল। যার সুবাদে বাংলাদেশ পেয়েছে ৩-০ গোলের বড় জয়। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয় এটি। এর আগে তাদের মাটিতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ হেরেছিল ৩-০ ব্যবধানে। এবার তুহুরার পারফরমেন্সে পুরনো হিসাব চুকালো বাংলার নারীরা।
ম্যাচের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এসে তহুরা নিজের কাটানো খারাপ সময়ের কথা তুলে ধরেন, ‘মাঝখানে আমি বাজে সময় পার করেছি, অনেক অসুস্থ ছিলাম। লিটু স্যারকে (বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ) বলেছিলাম আমি খেলা ছেড়ে দেব স্যার। আমি আর খেলব না। স্যার বলেছিলেন, তুই পারবি, চালিয়ে যা। তিনি আমাকে অনেক সমর্থন করেছিলেন। আমি খেলা থেকে প্রায় ছিটকে গিয়েছিলাম বলা চলে।’
আগামী সোমবার কমলাপুরে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচেও নিজেদের ভালো পারফরমেন্স অব্যাহত রাখতে চান বাংলাদেশ দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু। তিনি বলেন, ‘দাপটের সাথে জিততে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ। আজ মেয়েরা সেভাবেই জিতেছে, হয়তো আরও বেশি গোলে জিততে পারত। পরের ম্যাচে আরো ভালো খেলতে চাই।’
আরও পড়ুন: তহুরার জোড়া গোলে সিঙ্গাপুরকে ৩-০ ব্যবধানে হারালো বাংলাদেশ
ক্রিফোস্পোর্টস/২ডিসেম্বর২৩/এসএফ/এজে