বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নতুনভাবে বিশ্বের কাছে পরিচিতি এনে দিয়েছেন যিনি, তিনি সাকিব আল হাসান। এক নামেই পুরো ক্রিকেট বিশ্ব তাকে চেনে। আইসিসির অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থানটি কয়েক বছরের জন্য নিজের করে রেখেছিলেন এই সাকিব। মাঠের পাশাপাশি পারিবারিক জীবনেও যথেষ্ট কেয়ারিং মানুষ সাকিব। সেটাই উঠে এলো তার বিবাহবার্ষিকীতে।
সাকিবের ভাবনা যে সব সময় একটু অন্য রকম, তা তার বিয়ের তারিখটা দেখলেই বোঝা যায়। উম্মে আল হাসান শিশিরের সঙ্গে ২০১২-এর ১২ ডিসেম্বর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন সাকিব। দিনটাও একটু বিশেষ। ১২.১২.১২-দিন, মাস, বছর একই সংখ্যা ছিল সেদিন।
নতুন জীবন শুরুর পর দেখতে দেখতে সাকিব-শিশির জুটি পেরিয়েছে ১১ বছর। এক ছাদের নিচে ১১টি বছর কাটিয়েছেন সাকিব ও শিশির। তিনটি সন্তান নিয়ে শিশির আছেন বড্ড ব্যস্ত। সাকিবও মাঠ এবং মাঠের বাইরের বিভিন্ন ইস্যুতে আছেন ভীষণ ব্যস্ত। তাই খুব বেশি কাছাকাছি থাকা হয় না সাকিব-শিশিরের।
তবে বিবাহবার্ষিকীর দিন একটু স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছিলেন শিশির। গতকাল (১২ ডিসেম্বর) স্বামী-স্ত্রীর ছবি ফেসবুকে আপলোড করে একটা আবেগী ক্যাপশন দিয়েছেন শিশির। তিনি লিখেছেন, আমাদের ১১ বছর হয়ে গেছে আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের দুনিয়া খুবই ছোট। এখানে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মানের স্থানটাই বেশি। প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত আমরা একে অপরের পাশে রয়েছি। আল্লাহ আমাদের মঙ্গল করুন এবং শেষ পর্যন্ত আমরা এভাবে কাটিয়ে দিতে পারি। ভালোবাসা শুধু একটা শব্দ। তবে অনুভূতিটাই বিশেষ কিছু। ১১ বছরে পা দিলাম ও আরও হবে ইনশা আল্লাহ।’
বিয়ের তিন বছরের মাথায় গত ২০১৫ সালে সাকিব-শিশিরের ঘরে আসে প্রথম সন্তান আলাইনা হাসান। আলাইনার পর ২০২০ সালে জন্ম হয় আরেক মেয়ে ইরাম হাসানের। এরপর ২০২১ সালে এই দম্পতির কোল আলো করে আসে ছেলে ইজাহ আল হাসান।
আঙুলের চোটে বিশ্বকাপের শেষ দিকে মাঠ থেকে উঠে যান সাকিব। এরপর আর মাঠে নামা হয়নি। আপাতত নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ক্রিকেট থেকে দূরে আছেন। চিকিৎসার জন্য বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন সাকিব। এমনিতেও তিন সন্তানকে নিয়ে প্রায় সময়ই যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন সাকিব ও শিশির।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ম্যাচসহ আজকের খেলা (১৩ ডিসেম্বর ‘২৩)
ক্রিফোস্পোর্টস/১৩ডিসেম্বর২৩/এজে