আজ কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মাঠে নেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের জয়ী দল আগামী ১৯ নভেম্বর নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে নামবে।
এদিন টসে জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া প্রোটিয়ারা ব্যাটিংয়ে নেমেই অজি বোলারদের বোলিং তোপে পড়ে যায়। অজি বোলারদের বাড়তি বাউন্স আর সুইংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে প্রোটিয়া টপ অর্ডার। প্রথম ওভারেই স্টার্কের বলে শূণ্য রানেই সাজ ঘরে ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। পরে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কুইন্টন ডি ককও মাত্র ৩ রান করেই আউট হয়ে যান।
এরপর ফন ডার ডুসেন এবং এইডেন মার্করাম দলের প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করে তারাও ব্যর্থ হন।
দলীয় ২২ রানে অজিদের তৃতীয় শিকার এইডেন মার্করাম। ২০ বলে ব্যক্তিগত ১০ রান করে স্টার্কের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ফন ডার ডুসেন ৩১ বল খেলে ৬ করে আউট হলে দলীয় ২৪ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ইনিংসের ১৪ তম ওভার শেষে বৃষ্টি শুরু হলে ম্যাচ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। পরে আবার ম্যাচ শুরু হলে পঞ্চম উইকেটে ৯৫ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় কিছুটা সামাল দেন হেইনরিখ ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলার। কিন্তু দলীয় ১১৯ রানের মাথায় ট্রাভিস হেডের জোড়া আঘাতে ফের ব্যাকফুটে চলে যায় প্রোটিয়ারা। ৪৮ বলে ৪৭ রান করা ক্লাসেনের পর মার্কো ইয়ানসেনকেও শূণ্য রানেই সাজ ঘরে ফেরান হেড।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে উইকেটের অপর প্রান্তে তখনও দুর্দান্ত লড়ে যাচ্ছেন ডেভিড মিলার। সপ্তম উইকেটে জেরাল্ড কোয়েটজের সাথে ৫৩ রানের জুটি গড়েন মিলার। ৩৯ বলে ১৯ করে কোয়েটজেও আউট হয়ে গেলে পরে আর কেউই তেমন সঙ্গ দিতে পারেনি তাকে। পরে ব্যক্তিগত ১০১ রানে অজি কাপ্তান প্যাট কামিন্সের বলে আউট হন ডেভিড মিলার।
কেশব মহারাজের ৪ রান, আর রাবাদা ১০ রান করে আউট হয়ে গেলে ৪৯ ওভার ৪ বলে প্রোটিয়াদের ইনিংস থামে ২১২ রানে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে স্টার্ক এবং কামিন্স উভয়েই ৩ টি করে উইকেট পান। ২ টি করে উইকেট নেন হ্যাজেলউড এবং হেড। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে লড়তে হলে ৫০ ওভারে ২১৩ রানের লক্ষ্য আগে টপকাতে হবে পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের থেকে বাংলাদেশকে শিখতে বললেন বীরেন্দ্র শেবাগ
ক্রিফোস্পোর্টস/১৬নভেম্বর২৩/এমএস/এমটি