ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালের জমজমাট লড়াইয়ের ম্যাচে শুক্রবার (৫ জুলাই) মুখোমুখি হয় টুর্নামেন্টের অন্যতম দুই ফেভারিট দল স্পেন ও জার্মানি। এ ম্যাচে স্বাগতিক জার্মানিকে অতিরিক্ত সময়ে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্পেন। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলের সমতার পর অতিরিক্ত সময়ে ১১৯ তম মিনিটে গোল করে স্বাগতিকদের বিদায় ঘন্টা বাজায় লামিন-ওলমোরা।
সবশেষ ২০০৮ ইউরোর ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল স্পেন-জার্মানি। সে ম্যাচে জার্মানিকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয় করেছিল স্পেন। ১৬ বছর পর আবারো মুখোমুখি দেখায় জার্মানিকে হারালো লুইস ফুয়েন্তের দল।
স্টুটগার্টের এমএইচপি অ্যারেনায় এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ চালাতে স্পেন। তবে ৮ মিনিটের মাথায় ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার পেদ্রি। তবে অভাব বুঝতে দেননি বদলি হিসেবে নামা দানি ওলমো।
প্রথমার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে জার্মানি এগিয়ে থাকলেও আক্রমণভাগে বেশি সচল ছিল লামিন ইয়ামাল-আলভারো মোরাতারা। বিরতিতে যাওয়ার আগে জার্মানির ৪ শটের বিপরীতে স্পেন শট নিয়েছে ৮টি। তবে গোলের দেখা পায়নি কোনো দল।
আরও পড়ুন:
» কোয়ার্টারে ব্রাজিল-উরুগুয়ে ম্যাচে তিন আর্জেন্টাইন রেফারি
» রোহিত-কোহলির জার্সি অবসরে পাঠানোর অনুরোধ রায়নার
দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই আবারও আক্রমণ চালায় স্পেন। তবে এবার হতাশ করেনি স্পেনের আক্রমণভাগ। ম্যাচের ৫১তম মিনিটে লামিন ইয়ামালের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন পেদ্রির বদলি হিসেবে নামা ওলমো। বক্সের ডান পাশ থেকে লামিনের বাড়ানো বল সহজেই জালে পাঠান এই মিডফিল্ডার।
গোল হজমের পর সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে জার্মানি। স্পেনের গোলপোস্টে একের পর এক আঘাত হানে স্বাগতিকরা। তবে কোনোভাবেই গোল করতে পারছিলো না তারা। তবে ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে গোল নামক সোনার হরিণের দেখা পায় জার্মানি। জার্মানির তরুণ অ্যাটাকার ও বুন্দেসলিগায় সবশেষ মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় বায়ার লেভারকুসেনের ফ্লোরিয়ান উইর্টজ গোল করে দলকে সমতায় ফেরান। তাকে অ্যাসিস্ট করেন বায়ার্ন মিউনিখ তারা জসুয়া কিমিখ।
জার্মানির শেষ মুহূর্তের গোলের পর নির্ধারিত সময় ১-১ গোলের সমতা বিরাজ করে। এর ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়েও গোল পাচ্ছিলো না কোনো দল। ম্যাচ টাইব্রেকারের গড়ানোর পথেই ছিল। তবে ১১৯তম মিনিটে মিকেল মারিনো জয়সূচক গোলটি করে স্পেনকে সেমিফাইনালে তোলেন। প্রথম গোল করা ওলমোর ক্রস থেকে দুর্দান্ত এক হেডারে গোল করেন মোরাতার বদলি হিসেবে নামা মারিনো।
এই জয়ে টানা দ্বিতীয়বার ইউরোর সেমিতে পা রেখেছে স্পেন। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে ফ্রান্স অথবা পর্তুগাল।
ক্রিফোস্পোর্টস/৬জুলাই২৪/বিটি