সম্প্রতি ভারতের মাটিতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এরই ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। যা খেলেছেন ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে, ওয়ানডে এখনও খেললেও এর বিদায় হবে বিদেশের মাটিতে ধারণা করা যায়।
ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলে সাদা পোশাককেও বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তা ইস্যুতে সেটাও ব্যর্থ হলো। আর সাকিব কে দেশে না ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন স্বয়ং ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
আজ (শনিবার) চট্রগ্রামের এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন পরামর্শের ব্যাখ্যাও দেন আসিফ মাহমুদ। এসময় তিনি বলেন, ‘আমি আমার ফেসবুক পেজ থেকে সাকিবের দেশে না ফেরার বিষয়টি ব্যাখা করেছি। আমি মনে করি এই মুহূর্তে সাকিবের দেশে ফেরা ঠিক হবে না এজন্য আমি বিসিবিকে তাঁকে দেশে না ফেরার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। দেশের এই উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ক্রীড়াঙ্গনে কোনো নেতিবাচক প্রভাব যাতে না পড়ে এজন্য আমিই বিসিবিকে এমন পরামর্শ দিয়েছি এবং বিসিবি সে অনুযায়ী কাজ করেছে।’
এসময় ক্রীড়া উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ নিরাপত্তা বলতে শুধু এটা বোঝায় না যে নিরাপদে দেশে এনে ম্যাচ খেলতে দিলাম। নিরাপত্তা বলতে দেশে আনার পরেও যদি নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকে তাহলে সেটা বুঝতে পেরে আগেই বাতিল করা। দেশের এমন উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সবদিক বিবেচনা করতে হবে।’
মিরপুরে সাকিব বিরোধী আন্দোলনের জন্য আসিফ মাহমুদকে দায়ী করেছেন সাকিব ভক্তরা। সাকিব ভক্তদের অভিযোগ এসবের পিছনে ক্রীড়া উপদেষ্টার ইন্ধন রয়েছে। এবিষয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমি একটা ভিডিওতে দেখলাম একদল লোক সাকিব বিরোধী আন্দোলনের জন্য আমাকে দায়ী করছে। কিন্তু আমি কোনোভাবেই এগুলোর সাথে জড়িত না। আমি বিসিবির সংবাদ সম্মেলনে আগেও বলেছি যে আন্দোলন করা মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। এটাকে যদি মোড় ঘুরিয়ে অন্য কোনো অর্থ বের করে তাহলে সেটার দায়ভার আমার নয়।’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েছি এবং তারপর অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে । যেহেতু এটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার ছিলো সেহেতু আমরা আন্দোলন করেছি।’
আরো পড়ুন : বারবার সুযোগ মিস, প্রথম ম্যাচেই হারের স্বাদ বাংলাদেশের
ক্রিফোস্পোর্টস/১৯অক্টোবর২৪/এসআর