নতুন মালিকানায়, নতুন নামে আসন্ন বিপিএলে আগমন হচ্ছে ঢাকা ক্যাপিটালসের। প্রথমবারের মতো দল গঠন করেও দারুন যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে শাকিব খান-ইমনরা। তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলে গঠিত ঢাকার এই দল নিয়ে বেশ আশাবাদী তাদের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন।
প্রথমে বিদেশি কোচ দলে নেয়ার পরিকল্পনা করলেও শেষ পর্যন্ত দেশীয় কোচের উপরেই ভরসা রেখেছে ঢাকা ক্যাপিটালস। এর আগে বিপিএলে একাধিকবার ঢাকার দায়িত্ব পালন করেছেন সুজন। ২০১৬ সালে ঢাকা ডায়নামাইটসকে শিরোপা জেতান এই দেশীয় কোচ।
আসন্ন বিপিএলে নতুন করে ঢাকার দায়িত্ব পেয়ে নিজের উচ্ছ্বাসের কথা জানিয়েছেন সুজন। ঢাকা ক্যাপিটালসের প্রকাশিত এক ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় দায়িত্ব। আমি বিশ্বাস করি, আমারও শতভাগ চেষ্টা থাকবে দলকে এগিয়ে নেওয়ার। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা খুব জরুরী।’
বেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের সংমিশ্রণে দারুন একটি ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়া হয়েছে বলে মনে করেন সুজন। ড্রাফটের আগেই সরাসরি চুক্তিতে দলে নেয়া হয়েছে স্টিভেন এসকিনাজি, থিসারা পেরেরা, জনসন চার্লস, আমির হামজা ও শাহনেওয়াজ দাহানিকে। দেশিদের মধ্যে মুস্তাফিজুর রহমান ও তানজিদ হাসান তামিম।
আরও পড়ুন:
» সিরিজে টিকে থাকতে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে ভারতকে
» ভুটানকে হারিয়ে শিরোপা নিয়ে ভাবতে চায় বাংলাদেশ
এছাড়া অসংখ্য তরুণ ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের মিশেলে গঠিত দল পেয়ে খুশি হওয়ার কথা জানান সুজন, ‘তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলে এমন একটা দল পেয়ে আমি খুবই খুশি। বিদেশি কয়েকজন ভালো ক্রিকেটারও নেওয়া হয়েছে যারা টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট। আমি বিশ্বাস করি এখান থেকে অনেক ভালো কিছু করা সম্ভব। দেখা যাক কতটুকু ভালো করতে পারি।’
ড্রাফট থেকে শুরুতে লিটন দাস ও হাবিবুর রহমান সোহানকে দলে নেয় ঢাকা। এরপর দেশিদের মধ্যে দলে নেয়ার হয় সাব্বির রহমান, মুনিম শাহরিয়ার, আসিফ হাসান মিতুল ও শাহাদাত হোসেন দিপুকেও। এছাড়াও চমক দেখিয়ে লুফে নেয়া হয় দুই পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও আবু জায়েদ চৌধুরী রাহীকে।
বিদেশিদের মধ্যে ড্রাফট থেকে জায়গা পান সাইম আইয়ুব ও আমির হামজার মতো ক্রিকেটার। এছাড়া সরাসরি চুক্তিতে ফরমানউল্লাহ সাফি, জাহুর খান, রহমতুল্লাহ আলী, রিয়াজ হাসান ও চতুরঙ্গ ডি সিলভাকেও দলে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। এরা সবাই আসন্ন বিপিএলে খেলবে খালেদ মাহমুদ সুজনের অধীনে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৬অক্টোবর২৪/এফএএস