টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে আর এক সপ্তাহও বাকি নেই। ২ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও উইন্ডিজদের মাটিতে বিশ্বকাপের নবম আসর মাঠে গড়াতে যাচ্ছে। বৈশ্বিক আসরটির ইতিহাসে এবারই প্রথম বারের মত সর্বোচ্চ ২০ দল নিয়ে টুর্নামেন্টটি শুরু হবে। এবার দেখা নেওয়া যাক, চার-ছক্কার এই ধুন্ধুমার টুর্নামেন্টের নিয়ম-কানুনগুলো।
দলগুলো মোট কয়টি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে?
এবারই প্রথম সর্বোচ্চ ২০ দল নিয়ে এই টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াবে। চারটি গ্রুপে মোট ৫ টি দল ভাগ করে গ্রুপ পর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। গ্রুপ এ-তে আছে ভারত, পাকিস্তান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও আয়ারল্যান্ড। গ্রুপ বি-তে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, নামিবিয়া ও ওমান। গ্রুপ সি-তে আছে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, পাপুয়া নিউগিনি ও উগান্ডা। গ্রু ডি-তে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, নেপাল ও নেদারল্যান্ডস।
গ্রুপ পর্বের বিজয়ীদের কিভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে?
গ্রুপের প্রতিটি দল একে অপরের বিপক্ষে চারটি করে ম্যাচ খেলবে। গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সুপার এইটে খেলতে পারবে। ম্যাচ প্রতি জয়ে ২ পয়েন্ট আর ম্যাচ পরিত্যাক্ত হলে বা বৃষ্টিতে ভেসে গেলে ১ পয়েন্ট করে পাবে।
গ্রুপে দুই দলের সমান পয়েন্ট হলে তখন কি করবে?
একই গ্রপে দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে তখন দুই দলের নেট রান রেটের হিসাব করা হবে। সেখানে সমান হলে হেড টু হেড হিসাব হবে। ফলে জয়ী দল পরের রাউন্ডে উন্নীত হবে।
সুপার ওভারের নিয়ম কি?
ম্যাচ ড্র হলে তখন সুপার ওভার খেলা হবে। সেটাও যদি ড্র হয় তাহলে ফলাফল না আসা পর্যন্ত সুপার ওভার চলতেই থাকবে।
সুপার এইটের দলগুলো কিভাবে নির্ধারণ করা হয়?
প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল নিয়ে সুপার এইটের খেলা মাঠে গড়াবে। এখানে দুই গ্রুপে ৪ দল ভাগ করে খেলা হবে। এজন্য তাদের আইসিসি র্যাঙ্কিং অনুযায়ী বাছাই করে রেখেছে আইসিসি। এক্ষেত্রে এই দলগুলো পরের রাউন্ডে গেলে বাছাইয়ের ভিত্তিতে গ্রুপ ১ অথবা ২ এ যাবে।
সুপার এইট থেকে সেমিফাইনালে কিভাবে যাবে?
সুপার এইটের দুই গ্রুপের দুই শীর্ষ দল সেমিতে যাবে। আর দুই গ্রপের দুই চ্যাম্পিয়ন দল বাকি দুই রানার্সআপ দলের বিপক্ষে খেলবে।
ফলাফলের জন্য ওভারের সর্বনিম্ন সংখ্যা কত?
কোন কারণে ম্যাচে ওভারের সংখ্যা কমাতে হলে গ্রুপ পর্বে কমপক্ষে ইনিংসে ৫ ওভার খেলা হতে হবে। আর সেমি ও ফাইনালে ন্যূনতম ১০ ওভারের খেলা হতে হবে।
ম্যাচের জন্য রিজার্ভ ডে
গ্রুপ পর্বের জন্য কোন রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি, তবে প্রথম সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য রাখা হয়েছে। আর দ্বিতীয় সেমির জন্য কোন রিজার্ভ ডে রাখা না হলেও ২৫০ মিনিট অতিরিক্ত রাখা হয়েছে। কারণ দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ও ফাইনালের মাঝে মাত্র ১ দিন সময় রয়েছে। ফলে এমনটা সম্ভব না।
বিশ্বকাপে ওভার রেটের নিয়ম
বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচের জন্য ৩ ঘণ্টা ১০ মিনিট সময় থাকবে। একেকটা ইনিংসের সময় ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট আর ইনিংস বিরতি থাকবে ২০ মিনিট। ওভার বিরতি থাকবে ১ মিনিট অর্থাৎ ওভার শেষে ১ মিনিটের মধ্যে পরের ওভার শুরু করতে হবে। সময় হিসেবের জন্য এবার প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে স্টপ ক্লক ব্যবহার করবে আইসিসি।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩০মে২৪/এমএস