আগামী জুনে শুরু হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। প্রথমবারের মতো ২০টি দলের জমজমাট লড়াই দেখা যাবে এবারের বিশ্বকাপে। আফ্রিকা থেকে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করবে উগান্ডা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাঁচটি ও যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি ভেন্যুতে গড়াবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগামী ১ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে মুখোমুখি হবে কানাডা ও স্বাগতিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২৯ জুন বার্বাডোসে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল৷ যেখানে নির্ধারিত হবে চ্যাম্পিয়ন দলের নাম৷
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম আসর বসে দক্ষিণ আফ্রিকায়। জোহানেসবার্গে ফাইনালে প্রথম আসরেই পাকিস্তানকে মাত্র ৫ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত৷ মাত্র দুই বছর পর গত আসরের রানার্সআপ পাকিস্তান এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে৷ ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে লর্ডসে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান৷
ওয়েস্ট ইন্ডিজে ২০১০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে প্রথম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। এমনকি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম নন-এশিয়ান হিসেবেও শিরোপা জয়ের খেতাব পায় থ্রি লায়ন্সরা৷
কোন দলের কয়টি শিরোপা
ওয়েস্ট ইন্ডিজ
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেন একসূত্রে গাঁথা৷ তাই তো বিশ্বজুড়ে ফ্রাঞ্জাইজি ক্রিকেটেও তাঁদের কদর সবচেয়ে বেশি৷ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সীমিত ওভারের এই টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি সাফল্য ছুঁয়েছে ক্যারীবিয়ানরা৷ শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। সবমিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ট্রফি ক্যাবিনেটে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সংখ্যা ২টি৷
ইংল্যান্ড
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো ইংল্যান্ডেরও রয়েছে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ৷ ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম নন-এশিয়ান হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা৷ ফাইনালে কিংস্টন ওভালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়াকে ৭ উইকেটে পরাজিত করে থ্রি লায়ন্সরা। সর্বশেষ ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ঘরের মাটিতেই চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড৷ ফাইনালে মেলবোর্নে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় ইংলিশরা৷
ভারত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই বাজিমাত করে ভারত। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে সেবার চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। জোহানেসবার্গে ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ৫ রানের ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় ভারত৷ তবে এরপর টানা সবকটি আসরে অংশগ্রহণ করলেও শিরোপার দেখা পায়নি ভারত৷
পাকিস্তান
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে ভারতের কাছে মাত্র ৫ রানে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয় পাকিস্তানের৷ ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত পরের আসরেই শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় পাকিস্তান৷ অবশ্য এরপর আর শিরোপার কাছাকাছি যেতে পারেনি তারা৷ সর্বশেষ ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করতে হয় বাবরদের৷ এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে তাদের শিরোপার সংখ্যা সেই ১টি৷
শ্রীলঙ্কা
২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বসে বাংলাদেশে। সেই বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে তৃতীয় এশিয়ান দেশ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ফাইনালে ভারতকে ৬ উইকেটে পরাজিত করে প্রথম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা।
অস্ট্রেলিয়া
পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপে ততদিনে অজিরা জিতেছে ৫টি শিরোপা৷ কেবল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই শিরোপার ছোঁয়া পায়নি তারা৷ এর মধ্যে শিরোপার কাছাকাছি গিয়েও ছুঁতে না পারার আক্ষেপ জমে ২০১০ বিশ্বকাপে। সেবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয় অজিদের৷ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম শিরোপার ছোঁয়া পেতে অজিদের অপেক্ষা করতে হয় এক যুগেরও বেশি সময়৷ ২০২১ সালে ওমান ও আরব-আমিরাতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় অজিরা৷ সেই আসরের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতে তারা৷ সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১টি শিরোপা রয়েছে অজিদের৷
আরও পড়ুন: ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: একনজরে পূর্ণাঙ্গ সূচি
ক্রিফোস্পোর্টস/২৫ফেব্রুয়ারি২৪/টিএইচ/এমটি