দেশের মাটিতে কিছু দিন আগেই প্রথমবারের মত নিউজিল্যান্ডকে টেস্টে হারানোর স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। যেটা ছিল দেশের মাটিতে কিউইদের প্রথম বারের মত হারানোর অভিজ্ঞতাও। সে ম্যাচে বল হাতে তাইজুলের ১০ উইকেটের সাথে অধিনায়ক শান্তর শতক হাকানো ইনিংস সবচেয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এবার সেই ম্যাচ জয়ী পারফরমেন্সের স্বীকৃতিও পেলেন তাইজুল ইসলাম এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। আইসিসির সর্বশেষ করা টেস্ট র্যাঙ্কিং হালনাগাদে উন্নতি হয়েছে তাইজুল-শান্ত-মুশফিক তিন জনেরই।
আজ বুধবার সবশেষ টেস্ট র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে আইসিসি যেখানে ৭০৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বোলারদের তালিকায় ৮ ধাপ এগিয়েছে তাইজুল ইসলাম। এটা তাইজুলের টেস্টে ক্যারিয়ার সেরা অবস্থান। সাকিব আল হাসানকে টপকে বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে সেরা রেটিং পয়েন্টও এটিই।
এর আগে ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে সাকিবের সর্বোচ্চ ৭০৫ রেটিং পয়েন্ট উঠেছিল। কিউইদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নেয়ার মাধ্যমে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় বারের মত ১০ উইকেট নিয়ে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের ২২ থেকে ১৪ নম্বরে উঠে এসেছেন এই বাঁ হাতি স্পিনার।
বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে টেস্টে সর্বোচ্চ ভালো (৭ নম্বরে) অবস্থানে ছিলেন সাকিব ২০১১ সালে। টেস্টে ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্যারিয়ারের সেরা অবস্থানে উঠে এসেছে নাজমুল শান্তুও। কিউইদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৭ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে শান্তর ১০৫ রানের কল্যাণে র্যাঙ্কিংয়ে ১৩ ধাপ এগিয়েছে এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। শান্তু উঠে এসেছেন তার ক্যারিয়ার সেরা ৪২ তম অবস্থানে।
বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান হিসেবে ট্যাগ পাওয়া মুশফিকুর রহিম সিলেট টেস্টে মোট ৭৯ রান করেছিলেন। তারই স্বীকৃতিস্বরূপ তারও র্যাঙ্কিংয়েও ৪ ধাপ উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক এখন টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ২০ নম্বরে অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: স্পিনারদের ঘূর্ণিতে ভর করে স্বল্প পুঁজিতেও লিডের আশায় বাংলাদেশে
ক্রিফোস্পোর্টস/০৬ডিসেম্বর২৩/এমএস/এমটি