‘এই মাঠে তো অসংখ্যবারই এসেছি, তবে এবারের আসা অন্যরকম। অভিষেকের রোমাঞ্চের ছোঁয়া পেলাম যেন নতুন করে।’– আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের নতুন অভিজ্ঞতার কথা এভাবেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার তামিম ইকবাল।
মিরপুরের শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম তামিম ইকবালের কাছে নতুন কিছু নয়। গত দেড় যুগে অসংখ্য বার এই মাঠে খেলেছেন সতীর্থদের সাথে। তবে গতকাল বুধবার (৬ ডিসেম্বর) মিরপুরের এই স্টেডিয়ামে তামিমের আগমনটা ছিল ভিন্ন ধরনের। টিভি পর্দায় তাকে দেখা যায়নি ব্যাট হাতে। তবে মাইক্রোফোন হাতে শোনা গেছে তার কণ্ঠস্বর।
ম্যাচের আগের দিনই নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন তিনি থাকছেন ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায়। এদিন দুপুরে বরাদ্দ ছিল তামিমের স্লট। ধারাভাষ্যকক্ষে আতহার তাকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন এই বলে, ‘আমার পাশে যিনি বসে আছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি ১৫ হাজারের অধিক রান সংগ্রহকারী।’
ধারাভাষ্যকক্ষে স্বদেশি আতহারকে পেয়ে তামিম তার সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে ওঠেন। নিউজিল্যান্ডের ধারাভাষ্যকার গ্র্যান্ট এলিয়টের সঙ্গেও করেছেন মজা, ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল। আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে ধারাভাষ্যের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা তিনি নিজের ফেসবুক পেজে বর্ণনা করেছেন। সেই সাথে তার সময়কে আনন্দময় করে তোলার জন্য তার সহ-ধারাভাষ্যকার, প্রডিউসার ও সংশ্লিষ্ট যাঁরা ছিলেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর আগে ২০২২ সালে বিপিএলেও মাইক্রোফোন হাতে ধারাভাষ্য দিতে দেখা যায় তাকে। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আগে খানিকটা ধারাভাষ্য দিয়েছি বিপিএলে। তবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ, বিশেষ করে টেস্ট ম্যাচে ধারাভাষ্যের ব্যাপারটিই তো আলাদা। শুরুর দিনটি দারুণ উপভোগ করেছি। আশা করি, খুব দ্রুতই মাইক্রোফোন হাতে আবার দেখতে পাবেন আমাকে।’ এর আগে ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপে তাকে ধারাভাষ্যকার হিসেবেও দেখা যেতে পারে বলে জানিয়েছিলেন তামিম।
তামিমের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধারাভাষ্যের প্রথম দিনই ঘটেছে অন্যরকম এক ঘটনা। বাংলাদেশের ইনিংসের ৪১তম ওভারে জেমিসনের বল রক্ষণাত্মক খেললে তা অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে চলে যাচ্ছিল। স্টাম্পে চলে আসতে পারে এই ভেবে মুশফিক গ্লাভস দিয়ে বলটা সরিয়ে দিতে গেলে প্রতিপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ‘অবস্ট্র্যাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউট হন মুশফিক। সেসময় ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে বিস্ময় নিয়ে তামিম বললেন, ‘খুবই হতাশার, বল তো উইকেটে হিট করছিল না। এটা করার কোনো দরকারই ছিল না তার। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবে তার এটা বোঝা উচিত ছিল। একেবারেই দুর্ভাগ্য।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তামিম ইকবালের নতুন এই যাত্রার জন্য শুভকামনা জানিয়েছে তার অসংখ্য ভক্ত সমর্থক। তবে সকলের চাওয়া আবারো ব্যাট হাতে ফিরে আসুক খান সাহেব। আসন্ন ২০২৪ বিপিএল দিয়েই মাঠে ফেরার কথা রয়েছে তামিম ইকবালের।
আরও পড়ুন: আড়ালে নয়, এবার সাকিবকে ছাড়িয়ে গেলেন তাইজুল
ক্রিফোস্পোর্টস/৭ডিসেম্বর২৩/এসএস/এসএ