বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক অভাগা নাম বলা যায় তাসকিন আহমেদকে। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই চোটের সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন তিনি। ২০১৯ বিশ্বকাপের ইনজুরির কারণে ছিলেন দর্শক হয়ে, গেল আসরেও খেলেছেন চোটের সঙ্গে লড়াই করেই। বিশ্বকাপের পর দীর্ঘ সময় বিশ্রাম নিয়ে ফিরেছেন বিপিএল দিয়ে।
তবে এখনো যেন চোট পিছু ছাড়ছে না এই ২৮ বছর বয়সী টাইগার পেসারের। গতকাল দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে খেললেও ম্যাচে পুরোপুরি নিজেকে যুক্ত রাখতে পারেনি। ২ ওভার বোলিং করে ১৪ রান খরচায় ১ উইকেট পাওয়ার পর আর বোলিং করতে আসেননি তিনি। ম্যাচ শেষে ঢাকার প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন শরিফুল ইসলাম।
শরিফুল ইসলামের বক্তব্য অনুযায়ী শঙ্কা থেকে যাচ্ছে তাসকিন আহমেদকে নিয়ে। রংপুর রাইডার্স এর কাছে ৭৯ রানে হারের পর শরিফুল বলেন, ‘তাসকিন ভাইয়ের ব্যাক হালকা লেগে (ব্যথায়) আসছিল। সে জন্য বোলিং করেননি, ব্যাটিংয়েও নামেননি। আমরা ঝুঁকি নিতে চাইনি তাঁকে নিয়ে। আশা করছি, পরের ম্যাচের আগে উনি সুস্থ হয়ে যাবেন।’
তাসকিন যে পুরোপুরি ফিট নেই সেটা বোঝা গিয়েছিল খেলার মাঝেই। ২ ওভার ভালো বোলিং করার পর আর বোলিংয়ে দেখা যায়নি তাকে। তাকে না পাওয়াটা দলের জন্য কতটা লোকসান ছিল তা অনুমান করা যায়। দুর্দান্ত ঢাকাকে ১৮৪ রানের বড় টার্গেট দেয় রংপুর রাইডার্স। তাসকিন পুরো স্পেল বোলিং করতে পারলে রান কিছুটা কম হতেও পারত।
এই বিষয়ে শরিফুল বলেন, ‘আজ আমরা যদি কিছু রান কম দিতাম বা তাসকিন ভাই যদি ফিট থেকে দুইটা ওভার বোলিং করতে পারত, তাহলে হয়তো কিছু রান কম হতো। হয়তো ২টা উইকেটও পড়ত। খেলাটাও অন্য রকম হতো।’ তবে এখন দেখার বিষয় পরের ম্যাচে নিজেকে ফিট করে তাসকিন ঢাকার পেস আক্রমণের মূল ভরসা হয়ে মাঠে ফিরতে পারেন কিনা।
আরও পড়ুন: ধারাবাহিক ব্যর্থতায় বার্সেলোনা ছাড়ার ঘোষণা দিলেন কোচ জাভি হার্নান্দেজ
ক্রিফোস্পোর্টস/২৮জানুয়ারি২৪/এফএএস