পিন্ডি টেস্ট দেন দুহাত ভরে দিচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। কখনো ব্যক্তিগত কখনো দলীয় সাফল্য ধরা দিচ্ছে প্রতি ইনিংসে। রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে জয় ছিল দলটির বিপক্ষে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম জয়। এবার দ্বিতীয় টেস্ট হাতছানি সিরিজ জেতার। এর মধ্যেই মুশফিক-মিরাজ-লিটন পেয়েছেন সফলতা। নাম লিখিয়েছেন রাওয়ালপিন্ডির অনার্সবোর্ডে। রেকর্ড ভাঙা-গড়ার এই সিরিজে স্পিনারদের সঙ্গে টাইগার পেসাররাও দাপট দেখিয়েছেন।
দ্বিতীয় টেস্টে রীতিমত পাক বোলারদের শাসন করেছেন টাইগার পেসার ইউনিট। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার কোনো ইনিংসে ১০ উইকেটের সবগুলো উইকেট তুলে নিয়েছেন তাসকিন, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ। এ যেন দশে দশ পেল টাইগার পেসার ইউনিট।
সোমবার স্পিন ঘাঁটি রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসের চতুর্থ দিনে অগ্নিঝরা বোলিং করেন হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। তাসকিন আহমেদও তাদের সঙ্গে যুক্ত হন। ১০ উইকেটের ১০টিই তারা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। চতুর্থ দিনে ১৭২ রানে থামিয়ে দেন পাকিস্তানের ইনিংস।
আরও পড়ুন :
» ৫ উইকেটের কীর্তি গড়ে যা বললেন হাসান মাহমুদ
» ধোনিকে জীবনেও ক্ষমা করবেন না যুবরাজের বাবা, নেপথ্য কী?
এদিন বল হাতে পাকিস্তানের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন পেসার হাসান মাহমুদ। ১০.৪ ওভারে ৪৩ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। সুইং এবং লাইন ও লেংথে নিখুঁত ছিলেন ডানহাতি এই পেসার। এছাড়া পাকিস্তানের ব্যাটারদের গতি আর বাউন্স দিয়ে রীতিমতো নাস্তানাবুদ করেন নাহিদ রানা। তিনি ১১ ওভার বল করে ৪৪ রান দিয়ে লুফে নেন গুরুত্বপূর্ণ ৪টি উইকেট। ১০ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ১ উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমদে।
এদিকে পিন্ডি টেস্টের আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্মৃতি মুটেও সুখকর ছিল না। ১৩ টেস্টের ১২টিতেই হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার যেন পথ ফিরে পেয়েছে টিম বাংলাদেশ। গত ২৫ আগস্ট প্রথম টেস্ট জিতে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ। এবার দ্বিতীয় টেস্টও জয়ের হাতছানি দিচ্ছে। পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করার অনেক সন্নিকটে টাইগাররা। আর তাই হলে পাকিস্তান সফরে সাফল্যের ষোলকলা পূর্ণ করবে শান্ত বাহিনী।
দ্বিতীয় টেস্টের সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান : প্রথম ইনিংস— ২৭৪/১০, দ্বিতীয় ইনিংস : ১৭২/১০
বাংলাদেশ : প্রথম ইনিংস— ২৬২/১০, দ্বিতীয় ইনিংস : ৪২/০
টার্গেট : পঞ্চম দিনে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৪৩ রান, পাকিস্তানের ১০ উইকেট।
ক্রিফোস্পোর্টস/২সেপ্টেম্বর২৪/এইচআই/এসএ