নারী ফুটবলে বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রমিলা ফুটবলার হিসেবে বিবেচনা করা হয় ব্রাজিলিয়ান মার্তা ভিয়েরা দা সিলভাকে। তবে গেল রাতে প্যারিস অলিম্পিকে স্পেনের কাছে পরাজয়ের ম্যাচে কান্নায় ভেঙে মাঠ ছাড়েন এই তারকা ফুটবলার। যে ম্যাচে স্পেনের কাছে ২-০ গোলে হেরেও শেষ পর্যন্ত কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তার দল ব্রাজিল।
মূলত, এদিন লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মার্তাকে। অলিম্পিকের গ্রুপ পর্ব থেকে প্রায় ছিটকে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল ব্রাজিল নারী দল। এদিকে ব্রাজিলের হয়ে ছয় বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন, চলতি বছরই তিনি ইতি টানবেন নিজের ফুটবল ক্যারিয়ারের। সুতরাং প্যারিসই নিঃসন্দেহে মার্তার শেষ অলিম্পিক আসর।
মার্তা এর আগে পাঁচবার অলিম্পিকে অংশ নিয়ে দু’বার রোপ্য পদক পেয়েছিলেন ২০০৪ এবং ২০০৮ সালে। তবে এবার প্যারিস অলিম্পিকে খুব একটা ভালো পারফর্ম করতে পারেনি তার দল। অপরদিকে ধুকতে থাকা ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুযোগ পেলেও সেখানে তাদের কঠিন প্রতিপক্ষ ফ্রান্স।
গত রাতে বোর্দোতে স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে লাল কার্ড দেখেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। তাদের বক্সের বাইরে নিচু হয়ে হেড করতে যান স্পেনের ডিফেন্ডার ওলগা কার্মোনা। সেখান থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে কারমোনাকে বুট দিয়ে বিপজ্জনক চ্যালেঞ্জ করেন মার্তা। আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কারমোনা।
এমন ঘটনায় সরাসরি মার্তাকে লাল কার্ড দেখান অনফিল্ড রেফারি। এই সিদ্ধান্তে রাগান্বিত হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি মার্তা। তবে এসময় মাঠ ছাড়তে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার। কারণ এখানেই ইতি ঘটতে পারত তার অলিম্পিক যাত্রার। এখনও তেমনটাই হতে পারে। কেননা লাল কার্ড দেখায় কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে পারবেন না তিনি।
চলমান অলিম্পিকে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নাইজেরিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে ভালো শুরু করেছিল ব্রাজিল। তবে এর পরেই জাপানের কাছে ২-১ ব্যবধানে পরাজয়ের স্বাদ পায় তারা। অন্য গ্রুপের বাকি দলের তুলনায় গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে গ্রুপ ‘সি’ এর তৃতীয় দল হিসেবে কোয়াটার ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল। আগামী ৩ আগস্ট ফ্রান্সের বিপক্ষে রাত ১টায় মাঠে নামবে তারা।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার রিপোর্ট পেয়েছে বিসিবি
ক্রিফোস্পোর্টস/১আগস্ট২৪/এফএএস