চলমান বিপিএলের প্রথম দুই পর্বের খেলা শেষ হয়েছে। ঢাকায় প্রাথমিক পর্বে ৮ ম্যাচ ও সিলেট পর্বে ১২ ম্যাচসহ মোট ২০টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর দুটো পর্বে বেশিরভাগ ম্যাচেই রানবন্যা হয়েছে। ইতোমধ্যে এবারের বিপিএলে ৫ টি সেঞ্চুরি হয়েছে। তবে ব্যাটারদের পাশাপাশি বোলাররাও দারুণ করেছেন। এক ইনিংসে ৭ উইকেটের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বোলার ৪ উইকেটের দেখাও পেয়েছেন। তবে সবমিলিয়েও বোলারদের তুলনাও ব্যাটারদের আধিপত্যই বেশি দেখা গেছে প্রথম দুই পর্বে।
ঢাকা ও সিলেট পর্বে ব্যাট হাতে চমক দেখিয়েছেন অনেকেই। এর মধ্যে ব্যাট হাতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহ করেছেন জাকির হাসান। সিলেট স্ট্রাইকার্সের এই ওপেনার ৬ ইনিংসে ১৪৯.৪০ স্ট্রাইক রেট ও ৫০.২০ গড়ে ২৫১ রান করেছেন। যেখানে কোনো সেঞ্চুরি না থাকলেও ৩টি ফিফটির মার রয়েছে এবং সর্বোচ্চ ৭৫ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
এই তালিকায় দুই নম্বরের আছেন উসমান খান। চিটাগং কিংসের এই পাকিস্তানি তারকা ৪ ইনিংসে ১৭১.৭২ স্ট্রাইক রেট ও ৬২.২৫ গড়ে ২৪৯ রান করেছেন। যেখানে ১২৩ রানের একটি সেঞ্চুরির ইনিংসসহ দুটো ফিফটি রানের ইনিংস রয়েছে।
আরও পড়ুন:
» ২০২৫ পিএসএলে নাহিদ-রিশাদ-লিটনদের দলে খেলবেন যারা
» লিটন বাদ পড়ায় অবাক ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি অ্যামব্রোস
উসমান খানের পর অবস্থান করছেন বাংলাদেশের তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ঢাকা ক্যাপিটালসের জার্সিতে ৭ ইনিংসে ৩৫.১৪ গড় ও ১৩৮.২০ স্ট্রাইক রেটে ২৪৬ রান করেছেন। এবারের বিপিএলের পাঁচটি সেঞ্চুরির মধ্যে একটি তার ব্যাট থেকে এসেছে। এছাড়া একটি ফিফটিও পেয়েছেন তিনি।
তালিকার পরের অবস্থানেই আছেন এবারের বিপিএলের আরেক সেঞ্চুরিয়ান লিটন কুমার দাস। দুর্দান্ত রাজশাহীর বিপক্ষে ১২৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলা এই ওপেনার ৬ ইনিংসে করেছেন ২৪০ রান। যেখান তার গড় ৪৮ এবং স্ট্রাইক রেট ১৬৪.৩৮। সেঞ্চুরির পাশাপাশি একটি ফিফটিও রয়েছেন লিটনের।
তালিকার পাঁচ নম্বরে আছেন আরেক বাংলাদেশি ক্রিকেটার সাইফ হাসান। রংপুর রাইডার্সের এই ব্যাটার ৭ ইনিংসে ৩৮ গড় ও ১২৬.৬৭ স্ট্রাইক রেটে ২২৮ রান করেছেন। তার ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ ৮০ রানের ইনিংসসহ দুটি ফিফটি এসেছে।
আরও পড়ুন:
» পিএসএল ২০২৫ : প্লেয়ার্স ড্রাফট শেষে কে কোন দলে?
» বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিতে দেখছেন ইংলিশ তারকা
এবারের বিপিএলে ব্যাটারদের পাশাপাশি বোলাররাও বেশ কয়েকটি চমক দেখিয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় চমক দেখিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। এক ইনিংসে ৭ উইকেট তুলে নিয়ে বিপিএলের সকল রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন এই তারকা পেসার। সবমিলিয়ে ৬ ইনিংসে ১৪ উইকেট শিকার করে সবার শীর্ষে অবস্থান করছেন তিনি। আর ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৬.৭২ ইকোনমিতে।
এই তালিকায় দুই নম্বরের আছেন আবু হায়দার রনি। খুলনা টাইগার্সের এই পেসার ৫ ইনিংসে শিকার করেছেন ১১ উইকেট। যেখানে ওভারপ্রতি রান ৯.৮৭ ইকোনমিতে রান দিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। আর সমান ১১ উইকেট নিয়ে তিনে অবস্থান করছেন তানজিম হাসান সাকিব। তবে রনির চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলেছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের এই তরুণ পেসার।
চার ও পাঁচে থাকা খুশদিল শাহ ও শেখ মেহেদি দুজনেই সমান ৭ ম্যাচ খেলে ৯টি করে উইকেট নিয়েছেন। আর দুজনেই খেলছেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। এর মধ্যে খুশদিল ৬.০ এবং মেহেদি ৮.০ ইকোনমিতে ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪জানুয়ারি২৫/বিটি