
বাংলাদেশ ফুটবল দলের নিয়মিত অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনেও তিনিই নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে মাঠে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একাদশে জায়গা হয়নি এই অভিজ্ঞ মিডফিল্ডারের। শুধু তাই নয়, ম্যাচের পুরো ৯০ মিনিট তিনি বেঞ্চেই বসে থাকলেন, অথচ বাংলাদেশ দল তিনবার অধিনায়ক পরিবর্তন করল!
ম্যাচের শুরুতে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড ছিল তপু বর্মনের হাতে। কিন্তু ২২ মিনিটের মাথায় চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লে দায়িত্ব দেওয়া হয় রহমত মিয়াকে। এরপর ৭৫ মিনিটে রহমত বদলি হয়ে গেলে নতুন অধিনায়ক হন সোহেল রানা। এক ম্যাচে তিনজন অধিনায়ক পরিবর্তনের সাধারণত খুব একটা দেখা যায় না। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, কেন সেই দায়িত্ব একবারও দেওয়া হয়নি নিয়মিত অধিনায়ক জামালের কাঁধে?
স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ম্যাচের পর এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তার মতে, ‘ম্যাচের কৌশল অনুযায়ী আমরা খেলোয়াড় নির্বাচন করেছি। জামাল আমাদের বিকল্প ছিল, তবে শারীরিক সক্ষমতার কথা মাথায় রেখে আমরা সোহেল রানাকে বেছে নিয়েছি।’ তবে কোচের এই ব্যাখ্যা অনেককেই সন্তুষ্ট করতে পারেনি।
আরও পড়ুন:
» ম্যাচের আগে হুমকি দেয়া রাফিনহাকে ক্ষমা করলেন আর্জেন্টাইন কোচ
» বাংলাদেশের কাছে গোল না খাওয়াকে সৌভাগ্যের বলছেন ভারত কোচ
জামালের অনুপস্থিতি নিয়ে ফুটবল মহলে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। দেড় বছর ধরে কোচ ক্যাবরেরার অধীনে একাদশে অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন তিনি। অনেক ম্যাচেই বদলি হিসেবে নামানো হয়, আবার কখনো পুরো ম্যাচই খেলানো হয় না। প্রশ্ন উঠছে– তাহলে কি তিনি শুধু প্রেস কনফারেন্সের অধিনায়ক? মাঠে অধিনায়কত্ব করার জন্য কি তাকে আর যোগ্য মনে করছেন না কোচ?
ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ২৩ জনের স্কোয়াড থেকে ১৬ জন ফুটবলারকে খেলালেও জামালের মতো অভিজ্ঞ ফুটবলারকে কেন ব্যবহার করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ফুটবলপ্রেমীরা। নেট দুনিয়ায় বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে প্রবল। জামালের প্রতি কোচের অনীহা নাকি কৌশলগত কারণ—এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সবাই।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৬মার্চ২৫/এফএএস
