টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে দেশে ফিরেছেন নারী ফুটবলাররা। ছাদ খোলা বাসে মেয়েদের বরণ করে নেয়ার পাশাপাশি তাদের বিশাল অঙ্কের অর্থ পুরস্কার দিয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এবার আজ সকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সাফজয়ী ফুটবলাররা।
এ সময় নারী ফুটবলাররা নিজেদের বিভিন্ন চাহিদার কথা তুলে ধরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মোহাম্মদ ইউনূসের কাছে। যার মধ্যে সাবিনা খাতুনরা তাদের পরিবারের জন্য ঢাকায় আবাসন সুবিধা প্রত্যাশা করেছেন। এছাড়া কিছু ফুটবলার তাদের এলাকায় সংস্কারসহ ফুটবল সংক্রান্ত একাধিক চাহিদার কথা তুলে ধরেছেন।
সাক্ষাৎ শেষে যমুনা থেকে বাফুফে ভবনে ফিরে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও ম্যানেজার মাহমুদা আক্তার অনন্যা মিডিয়ার সামনে এসেছিলেন। যেখানে সাবিনা তাদের সকল চাহিদার কথা গণমাধ্যমের সামনেও তুলে ধরেন। এমনকি তিনি জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা তাদের চাহিদার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং সকল সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা ঢাকায় পরিবারের জন্য স্থায়ী আবাসনের প্রসঙ্গে সাবিনা বলেন, ‘আমাদের পরিবারের অনেকে ঢাকায় আসে, কিন্তু তাদের থাকার তেমন জায়গা থাকে না। তাই প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি আমাদের পরিবারের জন্য একটি আবাসন ব্যবস্থা করে দেয়ার।’
এছাড়া অনেক ফুটবলারের নিজ জেলায়ও রয়েছে নানা সমস্যা। কারো ঘর ভাঙা, আবার কারো বাড়ির পথ দুর্গম।
অনেকের বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। ব্যক্তিগত সমস্যার কথাও জানিয়েছে ফুটবলাররা। যেমন, ‘মারিয়া, কৃষ্ণা, মনিকা, মাসুরাসহ অনেকেই ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বলেছে। যেমন মনিকার বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা খারাপ এবং সেই এলাকার বিদ্যুৎ সমস্যা।’
পাশাপাশি ফুটবলের কিছু বিষয় নিয়েও আলাপ করেছেন নারী ফুটবলাররা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এখনও সংস্কারাধীন। বাফুফে ভবনের পাশে টার্ফ ও কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফও অকেজো প্রায়। তাই নারীদের খুব ভোরে মতিঝিল থেকে বসুন্ধরায় যেতে হয়। এমন আরো অনেক ফুটবল সংক্রান্ত জটিলতার কথা তুলে ধরেন ফুটবলাররা।
আরও পড়ুন:
» রোহিত-কোহলি পতনের বয়সে পৌঁছে গেছে: ইয়ান চ্যাপেল
» প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনা পেলেন সাফজয়ী ফুটবলাররা
নারী ফুটবলারদের অভাব-অভিযোগ মনোযোগ সহকারে শুনেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি লিখিত আকারে সকল চাহিদার কথা ক্রীড়া উপদেষ্টার মাধ্যমে দিতে বলেছেন। সাবিনা বলেন, ‘তিনি আমাদের প্রতিটি বিষয় মনোযোগ দিয়ে জেনেছেন। সবগুলো লিখিত দিতে বলেছেন এবং সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা ক্রীড়া উপদেষ্টার মাধ্যমে এই চিঠি দেব।’
প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে বিশেষ সংবর্ধনা পেয়ে সাবিনা খাতুন বলেছেন, ‘গুণী মানুষদের কাছে যেতে পেরে ভালোই লাগে।’ নিজেরদের চাহিদার পাশাপাশি নারী ও পুরুষ উভয় ফুটবলের সহযোগিতার জন্য সরকারের কাছে নিজেদের বিভিন্ন প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেছেন সাফজয়ী ফুটবলাররা।
ক্রিফোস্পোর্টস/২নভেম্বর২৪/এফএএস