বাংলাদেশের ফুটবলে নাটকীয় একটি রাতের সমাপ্তি হলেও এর রেশ যেন কিছুতেই কাটছে না। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মঞ্চায়িত হয় সেই নাটক। বাংলাদেশ বনাম ভারতের ফাইনাল মহারণ—টাইব্রেকারেও শেষ না করা গেলে টস কাণ্ডে গড়ায় ম্যাচের ভাগ্য। যা নিয়ে কমলাপুরের মাঠে দুঘণ্টা ধরে হয়েছে নানা কাণ্ড। শেষ পর্যন্ত দুদলের সম্মতিতে হয় ট্রফি ভাগাভাগি। বাংলাদেশ-ভারতকে ঘোষণা করা হয় যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন।
তখনই বুঝা গিয়েছিল—ফাইনালের জল অনেক দূর গড়াবে; হলোও তাই। ম্যাচ শেষেই এ নিয়ে কথা বলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক থেকে শুরু করে সাফের সাধারণ সম্পাদক। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন ভারতীয় কোচ শুক্লা দত্ত। এবার সাফের ট্রফি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ভারতীয় কোচের!
ভারতীয় দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শুক্লা দত্ত বলেন, ‘ম্যাচ কমিশনার যখন টসে ট্রফি নির্ধারিত হবে বলে জানান, তখন তো বাংলাদেশের কেউ কোনও আপত্তি করল না! কিন্তু টস হারার পর তাদের রং বদলে গেলো। টসে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হলে আয়োজকরা কি আমাদের কোনও কথা শুনতেন? এটুকুই বলবো, আমাদের প্রাপ্য ট্রফিটা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’
যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার কারণ নেই জানিয়ে ভারতীয় দলের কোচ বলেন, ‘টস জেতার পর আমাদের খেলোয়াড়রা একদফা উল্লাস করে ফেলেছিল। ম্যাচ থেকে ওদের ফোকাস নড়ে গিয়েছিল। তখন আমাদের আবারও সাডেন ডেথে অংশ নিতে বলা হয়! তখন আমাদের এক কর্তা বলছিলেন বিদেশের মাটিতে মেয়েদের নিরাপত্তার কথা ভেবে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে।’
সাক্ষাৎকারে শুক্লা দত্ত আরও বলেন, টস শেষ হলে আমাদের খেলোয়াড়দের ওপর বোতল আর ইট ছোড়া হয়। এজন্য আমাদের খেলোয়াড়রা মাঠে বেশিক্ষণ উদযাপন না করে ড্রেসিংরুমে ফিরে যায়। তখন আমাদের হাইকমিশনের কর্তারা দলের সঙ্গে দেখা করে মেয়েদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানান। শেষ পর্যন্ত কর্তাদের কারণে আমাদের যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হয়।’
আরও পড়ুন: সাফে নাটকীয় ফাইনাল: টস কেন হয়েছিল? নিয়ম কী বলে?
ক্রিফোস্পোর্টস/৮ফেব্রুয়ারি২৪/এসএ