প্রায় ৪০ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অলিম্পিকে পাকিস্তানকে সোনা জয়ের স্বাদ এনে দিয়েছেন আরশাদ নাদিম। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের জ্যাভেলিন থ্রো ইভেন্টে ভারতীয় নীরাজ চোপড়াকে হারিয়ে এই কীর্তি গড়েন তিনি। এতে করে বর্তমানে পাকিস্তানের ক্রীড়াঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন এই অ্যাথলেট। আর দেশের নাম উজ্জ্বল করায় তাকে বড় পুরস্কার দিয়েছে পাকিস্তান।
জ্যাভেলিন থ্রো ইভেন্টের ফাইনালে সেদিন সর্বোচ্চ দূরত্বে জ্যাভলিন থ্রো করার রেকর্ডও গড়েছেন নাদিম। রেকর্ড সর্বোচ্চ ৯২.৯৭ মিটার দূরত্বে জ্যাভেলিন ছুড়ে মারেন তিনি। এর আগে ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে নরওয়ের থ্রোয়ার আন্দ্রেয়াস থরকিলদসেন সর্বোচ্চ ৯০.৫৭ মিটার দূরত্বে ছুড়েছিলেন জ্যাভলিন। এদিকে নাদিমের প্রতিদ্বন্দ্বি নীরাজ ছুড়েছেন ৮৯.৪৫ মিটার দূরত্বে।
এমন সফলতার পর নাদিম পেয়েছেন বড় পুরস্কার। বিশাল অঙ্কের অর্থ পুরস্কারের পাশাপাশি তিনি পেয়েছেন বিশেষ নম্বর যুক্ত একটি গাড়ি উপহার। পাকিস্তানের পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়াম নাওয়াজ শরিফ মঙ্গলবার নাদিমের সঙ্গে দেখা করে তাকে ১০ কোটি রুপি যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ কোটি ২৪ লাখ ১৫ টাকা উপহার দেন।
এছাড়া একটি গাড়িও উপহার দেওয়া হয়েছে নাদিমকে। যে গাড়ির নম্বর বিশেষভাবে করা হয়েছে তার অলিম্পিকের জ্যাভলিন ছোড়ার রেকর্ড দূরত্ব অনুযায়ী। সেই গাড়ির নম্বর পিএকে ৯২.৯৭। এদিকে পাকিস্তান সরকার বাদেও নিজের শ্বশুরের কাছ থেকে উপহার পেয়েছেন নাদিম। নাদিমের শ্বশুর মুহম্মদ নওয়াজ় তাঁকে একটি ষাঁড় উপহার দিয়েছেন। তার মতে গ্রামে ষাঁড় একটি সম্মানজনক উপহার।
এর আগে ১৯৮৪ সালের লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে পাকিস্তানকে স্বর্ণ এনে দিয়েছিল হকি দল। স্বর্ণসহ এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের ঝুলিতে রয়েছে ১১টি পদক। সবশেষ ১৯৯২ সালের বার্সেলোনা গেমসে পাকিস্তানকে ব্রোঞ্জ পদক এনে দিয়েছিল সেই হকি দল। একক অর্জনের দিক থেকে ১৯৮৮ সালে সর্বশেষ সিয়োল অলিম্পিকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন বক্সার হুসেন শাহ।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটের প্রয়োজনে বিনা পয়সায় কাজ করতে প্রস্তুত রফিক
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪আগস্ট২৪/এফএএস