পুরুষ আইপিএলে বিরাট কোহলিদের মতো তারকাদের নিয়ে বারবার শক্তিশালী দল গড়েও কখনো শিরোপা জিততে পারেনি রয়েল চ্যালেঞ্চার্স ব্যাঙ্গালুরু। তবে এবার মালিকপক্ষকে আনন্দ উপহার দিয়েছে নারী দল। নারী আইপিএলের ফাইনালে দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে আরসিবিকে শিরোপার স্বাদ পাইয়েছে স্মৃতি মান্দার দল।
রবিবার রাতে ফাইনালও ছিল জমজমাট। আগে ব্যাটিং করে মাত্র ৭ ওভারে ৬৪ রান তুলে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিচ্ছিলো দিল্লি। ম্যাগ ল্যানিং ও শেফালি ভার্মার ব্যাট চড়াও হচ্ছিল বারবার। কিন্তু এই জুটি ভেঙে যাওয়ার পর আর দাঁড়াতে পারেনি দিল্লি।
মারমুখী ভঙ্গিতে ব্যাটিং করে ২৭ বলে ৪৪ রান করেন শেফালি শর্মা। অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে আসা সোফি মলিনক্স আরসিবিকে চালকের আসনে বসিয়ে দেন। ওই ওভারের প্রথম বলেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন শেফালি, আর দ্বিতীয় বলে জেমাইমা রদ্রিগেজ। চতুর্থ বলে এলিস ক্যাপ্সি উইকেট তুলে নেন সোফি। এরপর উইকেট পড়ে থাকে নিয়মিত। শেষপর্যন্ত ১১৩ রানে অল আউট হয় দিল্লি।
শেফালির ৪৪ ছাড়া ম্যাগ ল্যানিং ২৩, রাধা যাদব ১২ ও অরুন্ধতী রেড্ডি ১০ রান করেন। আরসিবির হয়ে বল হাতে শ্রেয়াঙ্কা পাতিল নেন ৪টি উইকেট। আর সোফি মলিনক্স শিকার করেন তিনটি। আশা সোবহানার ঝুলিতে যায় দুটি উইকেট।
পরে শিরোপা জিততে আরসিবির দরকার পড়ে ১১৪ রান। ছোট রানের জন্য লড়াই করতে হয় আরসিবিকেও। ওপেনিং জুটিতে ৪৯ রান তোলেন স্মৃতি মান্দানা ও সোফি ডিভাইন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেটে আসে ৩৩ রান করে। মাত্র ২টি উইকেট হারিয়ে তিনটি জুটিতেই জয় পায় আরসিবি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য আরসিবি-র প্রয়োজন ছিল ৫ রান। তিন বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেন কোহলির দলের নারীরা।
এদিন আরসিবির হয়ে ব্যাট হাতে এলিসা পেরি অপরাজিত ৩৫, সোফি ডিভাইন ৩২ ও স্মৃতি মান্দানা। আর পেরির সাথে ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন রিচা ঘোষ।
ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া ৩ উইকেট নেয়া সোফি মলিনক্স ফাইনালের সেরা হন। আর ২৯৫ রান ও ১০ উইকেট শিকার করা উত্তর প্রদেশের হয়ে খেলা দিপ্তী শর্মা টুর্নামেন্ট সেরা হন।
আরও পড়ুন: রোমাঞ্চে ভরা ৭ গোলের ম্যাচে লিভারপুলকে হারিয়ে সেমিতে ম্যানইউ
ক্রিফোস্পোর্টস/১৮মার্চ২৪/এজে