সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেটে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা। কোনো বড় টুর্নামেন্ট কিংবা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ, সবখানেই এই দুই প্রতিবেশী দেশের সমর্থকদের মধ্যে বাড়তি উত্তেজনা বিরাজ করে। চলতি মাসে ভারতের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ- ভারত সিরিজ ঘিরেও উত্তাপ তুঙ্গে। আর তিন দিন বাদেই মাঠে গড়াচ্ছে এই সিরিজ। যেখানে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল।
সবশেষ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও ভারত। সেই সিরিজে ৩টি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট খেলেছিল দুই দল। ঘরের মাটিতে টাইগাররা ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজটি জিতে নিলেও টেস্টে ২-০ তে হেরেছিল স্বাগতিকরা। তবে মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের কাছাকাছি গিয়ে শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে হেরেছিল সাকিব-মুশফিকরা।
এদিকে, ভারতের মাটিতে বাংলাদেশ সবশেষ সফর করেছিল ২০১৯ সালের নভেম্বরে। সেই সফরে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলেছিল টাইগাররা। টি-টোয়েন্টিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারলেও বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখিয়েছিল দলটি। তবে টেস্ট সিরিজে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করতে পারেনি মুশফিক-লিটনরা। দুটি টেস্টেই ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল তারা।
আরও পড়ুন:
» আইসিসি থেকে আশরাফুলের স্বীকৃতি, নতুন স্বপ্ন কী জানালেন নিজেই
» ভারত সিরিজে বন্ধু তামিমকে টপকে শীর্ষে ওঠার সুযোগ মুশফিকের
এছাড়া গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবশেষ মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সুপার এইটের ম্যাচটিতে ৫০ রানে হেরেছিল নাজমুল হোসেন শান্তরা।
আগামী বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চেন্নাইয়ে বাংলাদেশ-ভারতের প্রথম টেস্টে মাঠে গড়াবে। অতীত রেকর্ড বিবেচনায় বাংলাদেশের চেয়ে বেশ এগিয়ে ভারত। টেস্টে ভারতের বিপক্ষে ১৩ ম্যাচেও কোনো জয়ের দেখা পায়নি টাইগাররা। অন্যদিকে টি-টোয়েন্টি ১৪ ম্যাচে ১৩ হারের বিপরীতে কেবল ১টি জয়ের দেখা পেয়েছে টিম টাইগার্স। এই একমাত্র জয়টি এসেছিল ভারতের মাটিতেই।
অতীতের রেকর্ড বিবেচনায় এবং স্বাগতিক দল হিসেবে এই সিরিজে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে ভারত। তবে সদ্য পাকিস্তানকে তাদের ঘরের মাটিতে দুই টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করে আসা শান্তদের হালকাভাবে নিচ্ছে না রোহিত-কোহলিরা। তাই আসন্ন এই সিরিজে এক প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক লড়াইয়ের অপেক্ষায় দুই দলের সমর্থকেরা।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৬সেপ্টেম্বর২৪/বিটি