জিতলেই অলরেডদের সুযোগ ছিল আরো একবার হারানো সিংহাসন ফিরে পাওয়া৷ প্রথমার্ধে সেই সুযোগ বেশ ভালোভাবেই তৈরি করেছিল ক্লপের শিষ্যরা৷ কিন্তু শেষ দিকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে পয়েন্ট ভাগাভাগিতে সুযোগ হাতছাড়া হয় লিভারপুলের।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে এদিন ফেভারিট তকমা নিয়েই শুরু করে লিভারপুল৷ প্রথমার্ধে লিভারপুলের কাছে রীতিমতো উড়ে যায় ম্যানইউ৷ লিভারপুলের ১৫ শটের বিপরীতে একটি শটও গোলপোস্টে রাখতে পারেনি রেডডেভিলরা৷ ম্যাচের ২৩ মিনিটে ডারউইন নুনেজের পাস থেকে লুইস দিয়াজের দারুণ এক গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সম্পূর্ণ এক ব্যতিক্রম লিভারপুলকে দেখা যায়৷ দুর্দান্ত খেলতে থাকা লিভারপুল এক ছন্নছাড়া রূপে আবিভূত হয়।
অন্যদিকে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ম্যানইউ৷ ম্যাচের ৫০ মিনিটে লুইজ দিয়াজের গোলের শোধ দেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। এর ১৭ মিনিট পরই ঘরের সমর্থকদের আবারও আনন্দ ভাসায় রেডডেভিলরা৷ এবার ম্যানইউকে গোল এনে দেন কোবি মাইনো।
তবে শেষদিকে লিগের মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হারতে বসা লিভারপুলের ত্রাতা হয়ে ধরা দেন মোহাম্মদ সালাহ। ৮৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে লিভারপুলকে সমতায় ফেরান এই মিসরীয় ফরোয়ার্ড। ফলে নর্থওয়েস্ট ডার্বিতে ২-২ গোলে পয়েন্ট ভাগাভাগিতে শেষ হয় দুই দলের মহারণ।
এর মাধ্যমে চলতি প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা থেকে কিছুটা পিছিয়ে গেল লিভারপুল৷ ফেরা হলো না পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। শিরোপা জয়ের পথে অলরেডদের কঠিন সমীকরণে ফেলে দিল ইউনাইটেড। গতকাল ব্রাইটনকে ঘরের মাঠে ৩-০ গোলে হারিয়ে শীর্ষস্থানে ফিরেছিল আর্সেনাল।
লিভারপুলের ড্রয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ৩১ ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই থাকল গানার্সরা। গোল ব্যবধান কম থাকার কারণে সমান পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রয়েছে লিভারপুল। ৭০ পয়েন্ট লিভারপুলের ঠিক পিছনেই রয়েছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি৷ সবমিলিয়ে এবারের শিরোপা ভাগ্য কার কাছে ধরা দিবে তা সময়ই বলে দিবে৷
আরও পড়ুন: ফিফা থেকে সুখবর পেল বাংলাদেশের মেয়েরা
ক্রিফোস্পোর্টস/৭এপ্রিল২৪/টিএইচ/এমটি