নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামকে ঘিরে এবার বিতর্ক শেষ হচ্ছে। কারো চোখে ছিল খেলার অযোগ্য, কারো চোখে ব্যাটারদের মৃত্যুকূপ। মন্থর গতির উইকেটের জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরু থেকে এমন সমালোচনা পোহাতে হয়েছে নাসাউ স্টেডিয়ামকে। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ না হতেই ভাঙা হচ্ছে স্টেডিয়ামটি৷ সর্বশেষ ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচ দিয়ে বিদায় ঘটতে যাচ্ছে নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের।
বিশ্বকাপের একমাত্র অস্থায়ী স্টেডিয়াম ছিল নিউইয়র্কের এই নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। নিইয়র্কের আইজেন পার্কে গড়া ৩৪ হাজার দর্শকের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এ স্টেডিয়াম তৈরি করতে সময় লেগেছিল ১০৬ দিন। ৩৫০ কোটি টাকা খরচে নির্মিত স্টেডিয়ামটি এবার ভাঙতে ৬ সপ্তাহ অর্থাৎ, ৪২ দিন সময় লাগবে বলে জানা গেছে। এই মাঠে ১০ দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে মোট ৮ ম্যাচ। সবচেয়ে বড় ম্যাচ হিসেবে ছিল ভারত-পাকিস্তানের হাইভোল্টেজ ম্যাচ। লো-স্কোরিং থ্রিলারে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসে ভারত৷
সর্বশেষ ভারত-যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাচে এক ইতিহাসের সাক্ষী হয়েছে স্টেডিয়ামটি৷ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ‘স্টপ ক্লক’ নিয়মের আওতায় প্রথম পেনাল্টির ঘটনা ঘটেছে নিউ ইয়র্কের এ মাঠেই। ভারতের বিপক্ষে তিনবার এক মিনিটের মধ্যে নতুন ওভার শুরু করতে না পারায় ৫ রান গুনতে হয় যুক্তরাষ্ট্রকে।
আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রকে হারের তিক্ত স্বাদ দিয়ে কোয়ার্টারে ভারত
স্টেডিয়াম ভেঙে ফেলা হলে আবার আগের মতো স্থানীয় মানুষের খেলাধুলা কিংবা সময় কাটানোর জন্য এটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। গ্যালারি ও অন্যান্য স্থাপনা ভেঙে ফেলা হলেও মাঠের আউটফিল্ড অক্ষত রাখা হবে।
তবে বিশ্বকাপের জন্য বিশেষ চাহিদার কথা মাথায় রেখে অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা ৪টি ড্রপ-ইন পিচের ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজে আইসিসির এক কর্মকর্তা বলেছেন, নাসাউ কাউন্টি কর্তৃপক্ষ যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের শর্তে পিচগুলো রেখে দিতে পারবে। অন্যথায় ড্রপ-ইন পিচের চাহিদা আছে, এমন জায়গায় পিচগুলো পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মেজর লিগ ক্রিকেটের কিছু ম্যাচ নিউ ইয়র্কের এই মাঠে আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বকাপের লো-স্কোরিং ম্যাচ দেখার পর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো সেই পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে৷ তাই মেজর লিগ ক্রিকেটের কোনো ম্যাচই এখানে হওয়ার সম্ভাবনা নেই৷
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪জুন২৪/টিএইচ/এসএ