আসন্ন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশের দুয়ারে কড়া নাড়ছে। সামনে এক মাসেরও কম সময়— কিন্তু বৈশ্বিক এই ইভেন্টির এবারের আয়োজক বাংলাদেশের আকাশে যে- চিন্তার মেঘ ভাসছে। ক’দিন আগেই বিপ্লবের ঝড় বয়ে গেল এই দেশের উপর দিয়ে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ভেঙে গেছে সরকার।
গত ৯ আগস্ট নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তবর্তী সরকার। এই সরকারের সামনে রাষ্ট্র ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর চ্যালেঞ্জের মধ্যেই নতুন দায়- নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন। তবে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-আইসিসি এখনো হাল ছেড়ে দেয়নি। সম্প্রতি তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি তারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বিকল্প ভেন্যু হিসেবে তারা ভারত-আমিরাত ও শ্রীলঙ্কাকে ধরে রেখেছে।
তবে সরকার পতনের পর সাময়িক সঙ্কটে থাকা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্তারা চাইছেন যে করেই হোক দেশে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে। নিরাপত্তার জন্য বিসিবি সেনাবাহিনীর কাছেও সহায়তা চেয়েছে— এতে ইতিবাচক সাড়াও মিলেছে।
আরও পড়ুন :
» ৫টি ম্যাচ খেলতে পাকিস্তান পৌঁছেছেন মুশফিক-মুমিনুলরা (ভিডিও)
» অলিম্পিক ফুটবল: প্রথম স্বর্ণের খোঁজে রাতে ফাইনালে নামছে ব্রাজিল
» যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টাকে যে অনুরোধ করলেন সাইফউদ্দিন
অপরদিকে সার্বিক পরিস্থিতি বিএবেচনায় আশার বাণী শুনিয়েছেন নবগঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয় আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ড. ইউনূস পাশে আছেন বলেই তিনি সবচেয়ে বেশি আশাবাদী।
সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাতকারে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্ব নন্দিত ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার এই সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি নিজেও ক্রীড়াপ্রেমী। এবারের অলিম্পিক গেমসের সঙ্গেও তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। তার সঙ্গে কথা বলে, আশা করছি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমাদের দেশেই ঠিকঠাকভাবে আয়োজনের ব্যবস্থা করতে পারবো। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’
তিনি বলেন, ‘আশা করছি এটা বাংলাদেশের বাইরে যাবে না। দেশ গঠনের সময় আমাদের সৌভাগ্য, ইউনূস স্যার সঙ্গে আছেন। যা যা প্রয়োজন সচিবের কাছে কিছু কিছু শুনেছি। সেগুলো সংস্কারের জন্য রোববারই বসবো।’
আগামী ৩ অক্টোবর বাংলাদেশের মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। এর মধ্যেই ভেঙে যাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থক হিসেবে পরিচিত বিসিবি কর্তাদের অনেকেই দেশ ছেড়েছেন। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও নীতিনির্ধারণী মহলের অধিকাংশ সদস্যই নেই। আর এতেই এই মেগা ইভেন্ট হাতছাড়ার শঙ্কা দেখা দেয়।
তবে ইতোমধ্যে ড. ইউনূস সরকারকে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দেশগুলো সর্বোচ্চ সহায়তা ও পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। আর এতেই দেশের আকাশ থেকে অনেক সঙ্কটের মেঘ কেটে গেছে। তাই বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকরাও আসরটি নিয়ে আশা করতে পারেন।
ক্রিফোস্পোর্টস/১০আগস্ট২৪/এসএ