
১২০ কোটি নয়, প্রায় ২৪০ কোটি টাকা ট্রান্সফার করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড- বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। তবে এই ট্রান্সফারের উদ্দেশ্য কী, সেটাও জানা গেছে। মূলত বেশি লভ্যাংশের আশায় ১৪ ব্যাংকে রাখা হয়েছে এফডিআরের এই টাকা।
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায় বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিটের প্রায় ১২০ কোটি টাকা বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই অন্য ব্যাংকে সরিয়েছেন সভাপতি ফারুক আহমেদ। এমন খবরে সমালোচিত হন বোর্ড প্রধান। তবে ব্যাংক স্টেটমেন্টের খোঁজ নিয়ে দেখা যায় রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর নতুন ১৩টি ব্যাংকে নতুন করে এফডিআর খুলেছে বিসিবি। যেখানে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ২৪০ কোটি টাকা ডিপোজিট করা হয়।
বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা রাখার কথা অস্বীকার করেননি ফারুক। দাবি করেন তিনি একা এই কাজ করেননি। বিসিবির ফাইনান্স কমিটির প্রধান ও আরো একজন বোর্ড পরিচালক পুরো প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত ছিলেন। বোর্ডের আয় বাড়ানোর জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংকগুলো থেকে টাকা ট্রান্সফার করে তুলনামূলক নিরাপদ ব্যাংকগুলোতে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন
»পিএসএল খেলতে দেশ ছাড়ার আগে আত্মবিশ্বাসী নাহিদ রানা
»নারী কাবাডিতে নতুন আশা দেখছে বাংলাদেশ
গত সরকারের আমলে যেসব ব্যাংকে টাকা রাখা হয়েছিলো, তাদের ইন্টারেস্ট রেট ছিল তুলনামূলক কম। বলেন ফারুক। ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে বিসিবির এফডিআর স্টেটমেন্ট অনুযায়ী আইএফআইসি ও মিডল্যান্ড ব্যাংকে থাকা বিভিন্ন কিস্তির ১২ কোটি টাকায় ৯ থেকে ১০ শতাংশ হারে সুদ পেত বিসিবি। তা মধুমতি ব্যাংকে সরিয়ে নেয়া হয় সাড়ে এগারো শতাংশ সুদের হারে।
সরকারের লাল তালিকাভুক্ত ব্যাংক জনতা, অগ্রণী ও বেসিক ব্যাংক থেকে তুলনামূলক নিরাপদ সবুজ ও হলুদ তালিকাভুক্ত ব্র্যাক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ও প্রাইম ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করেন বোর্ড সভাপতি।
আরও পড়ুন
ক্রিফোস্পোর্টস/২৬এপ্রিল২৫/এজে/এনজি
