সব ধরণের ক্রিকেট থেকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে বিপিএলে খেলা আশার জাইদি। তবে ক্রিকেটার হিসেবে নয়, কোচ হিসেবে নিষিদ্ধ হয়েছেন এই পাকিস্তানি। দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। বুধবার (৭ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি।
পাকিস্তানের করাচিতে জন্ম নেয়া জাইদির ক্রিকেটার হিসেবে পাকিস্তানের জার্সিতে কখনো অভিষেক হয়নি। পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে ইসলামাবাদের হয়ে খেলার পাশাপাশি ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে সাসেক্স ও এসেক্সের হয়ে খেলেছেন তিনি। এরপর কোচিং পেশায় নিযুক্ত হন এই অলরাউন্ডার।
২০২১ সালে আবুধাবি টি-টেন লিগে পুনে ডেভিলসের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। সেসময় তিনি দুর্নীতিতে জড়িয়েছিলেন, যার প্রমাণ পেয়েছে আইসিসি। আইসিসির অভিযোগ অনুযায়ী, তারা বেটিং করেছেন, যা আইনত দণ্ডনীয়। এছাড়া ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও তা লুকানোয় আইসিসির নিয়ম ভঙ্গ হয়েছে। এর ফলে তাকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
» মাদক-কাণ্ডে আটক অলিম্পিকের খেলোয়াড়
» মেসির বাড়িতে দুঃখজনক সেই ঘটনা নিয়ে যা বললেন আর্জেন্টাইন প্রেসিডেন্ট
জাইদি বিপিএলের ২০১৫ ও ১৬ আসরে মাশরাফির নেতৃত্বে কুমিল্লার হয়ে খেলেছিলেন। ২০১৬ আসরে খুব বেশি খেলার সুযোগ পাননি তিনি। তবে ২০১৫ আসরে কুমিল্লার শিরোপা জয়ে দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে ৭ ইনিংসে ৪০.৫০ গড় ও ১৩৬.১৩ স্ট্রাইক রেটে ১৬২ রান করেছিলেন। এছাড়া বল ইনিংসে ১০ ম্যাচে ৪.৫০ ইকোনমিতে রান দিয়ে ১৭ উইকেট শিকার করেছিলেন এই অলরাউন্ডার।
জাইদি ছাড়াও দলটির দুই সহ-মালিক পারাগ সাঙ্ঘাভি ও কৃষান কুমার চৌধুরিও একইভাবে নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। তবে তারা ২ বছরের জন্য ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন।
এই দলেই খেলতেন বাংলাদেশের একসময়ের নিয়মিত অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন নাসির। ২০২১ সালে আবুধাবির টি-টেন লিগে আইসিসির নিয়ম লঙ্ঘন করায় নিষিদ্ধ হন তিনি। আগামী বছরের ৬ এপ্রিল পর্যন্ত তার এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
ক্রিফোস্পোর্টস/৮আগস্ট২৪/বিটি