দুবাইয়ে চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশের যুবারা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৮৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় ভারত। জবাবে ৪৩ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
দুবাইয়ের ক্রিকেট একাডেমিতে টস জিতে শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। বোলিংয়ে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে বাংলাদেশের যুবারা। প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নেন মারুফ মৃধা। পাওয়ার প্লেতে আরো ২ টি উইকেট তুলে নিয়ে ভারতীয় ব্যাটারদের চেপে ধরেন মারুফ।
এরপর প্রিয়াংশু মলিয়া এবং শচীন ধস মিলে বিপদ থেকে উত্তরনের চেষ্টা করলে তাদের ২৩ রানের জুটি ভেঙে দেন বর্ষন। পরবর্তীতে ৬১ রানের মধ্যেই ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় ভারতের যুবারা।
তবে এই বিপত্তি কাটিয়ে আবারো ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। ষষ্ঠ উইকেটে মুশির খান ও মুরুগান অভিষেকের ৮৪ রানের জুটিতে কিছুটা লড়াকু সংগ্রহের লক্ষ্যে এগোতে থাকে ভারত। শেষ পর্যন্ত ৪২.৪ ওভার খেলে ১৮৮ রান করে থামে ভারতের ইনিংস। অভিষেক সর্বোচ্চ ৬২ এবং মুশির খান ৫০ রান করে আউট হন।
ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে ১৮৯ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই আউট হয়ে ফিরে যান জিশান আলম। ৩৪ রানেই বাংলাদেশের ৩ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় ভারতের বোলাররা। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা শিবলি মাত্র ৭ রান করে রান আউট হয়ে ফিরে যান।
পাওয়ার প্লেতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া বাংলাদেশকে রক্ষা করে আরিফুল ইসলাম ও অহরার আমিন। তাদের ১৩৮ রানের জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে বাংলাদেশের হাতে। শেষদিকে দ্রুত ৩ টি উইকেট পড়লেও তা বাংলাদেশের জয়ে তেমন বাধা তৈরি করতে পারেনি। তবে আরিফুল সেঞ্চুরি পূরনে ব্যর্থ হয়ে ৯৪ এবং আমিন অর্ধশতকের কাছে গিয়ে ৪৪ রান করে আউট হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশের যুবারা।
বোলিংয়ে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ টি উইকেট নেন মারুফ মৃধা। এছাড়া বর্ষন ও পারভেজ ২ টি করে উইকেট নেন। ভারতের হয়ে নামান তিওয়ারি ৩ টি এবং রাজ লিম্বানি ২ টি উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ১৮৮/১০ ( ৪২.৪ ওভার )
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ১৮৯/৬ ( ৪২.৫ ওভার)
ফলাফল: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৪ উইকেটে জয়ী
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চ্যালেঞ্জিং হবে: টম লাথাম
ক্রিফোস্পোর্টস/১৫ডিসেম্বর২৩/এমটি