দেশের চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ক্রীড়াঙ্গন বড় ধাক্কা খাচ্ছে। ইতোমধ্যে দুইটি বড় ইভেন্টের আয়োজক হয়েও তা আয়োজনের সুযোগ হারিয়েছে বাংলাদেশ। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বসার কথা ছিল ঢাকা ও সিলেটে, কিন্তু আইসিসির সিদ্ধান্তে তা সরে যায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকায় সরে যায় কমনওয়েলথ কারাতের আসর।
এবার ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিপাক্ষিক সিরিজও খোয়াতে বসেছে বাংলাদেশ। আগামী অক্টোবরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা দক্ষিণ আফ্রিকার। সেই সিরিজটি নিয়েই তৈরি হয়েছে শঙ্কা। সূচি নির্ধারণ করা থাকলেও প্রোটিয়াদের আগমন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
আসন্ন এই সিরিজ নিয়ে চলতি সপ্তাহে সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসএসিএ) সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ)। ওই আলোচনায় সিদ্ধান্ত হবে বাংলাদেশ সফর নিয়ে। সিএসএ ক্রিকেটারদের এই সফরে আগ্রহ আছে কিনা তা জেনেই সিদ্ধান্ত জানাবে। মূলত নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় গণমাধ্যম ক্রিকইনফো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ নিয়ে ক্রিকেটারদের কোনো চাপ দিতে চায় না ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা। তারা ক্রিকেটারদের ওপর ছেড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সফরে তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন কিনা।
আরও পড়ুন :
» ভারতকে ‘হোম ভেন্যু’ বানিয়ে বিপাকে আফগানিস্তান
» কলম্বিয়া ম্যাচের আগে একাদশ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আর্জেন্টিনা
চলমান আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এখনও ছয়টি ম্যাচ বাকি দক্ষিণ আফ্রিকার। এই মুহূর্তে প্রোটিয়ারা টেবিলের সপ্তম স্থানে রয়েছে। লর্ডসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফাইনালে জায়গা করে নিতে নিজেদের পরের ছয় টেস্টের মধ্যে অন্তত পাঁচটিতে জিততে হবে সাউথ আফ্রিকাকে।
বাংলাদেশের সমান ছয়টি ম্যাচ বাকি। অবশ্য ফাইনালে খেলতে বাংলাদেশকেও সমান পাঁচটি ম্যাচে জিততে হবে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা যদি এই সফর বাতিল করে তাহলে বিপাকে পড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এদিকে চলতি মাসে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ভারত সফর করবে টাইগাররা।
ক্রিফোস্পোর্টস/১০সেপ্টেম্বর২৪/এসএম