কয়েকদিন আগেই হত্যা মামলার আসামি হয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এবার মামলার তালিকায় যুক্ত হলো মাশরাফি বিন মুর্তজার নামও। তবে কোনো রাজনৈতিক কারণে নয়। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের শেয়ার জোরপূর্বক দখলের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে ফ্রাঞ্চাইজিটির সাবেক মালিক।
আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পল্লবী থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন সিলেট ফ্রাঞ্চাইজির সাবেক মালিক সারোয়ার চৌধুরি। মাশরাফিকে এই মামলার ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এছাড়া হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্র, মো. ইমাম হাসান, কে এম রাসেল, বাবলু ও অজ্ঞাতসহ মোট ৮ জনকে এই মামলার আসামি করা হয়েছে।
২০২২ সালের অক্টোবরে বিসিবি থেকে তিন বছরের জন্য সিলেট স্ট্রাইকার্সের স্বত্ব কিনে নেয় ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি। এই কোম্পানির চেয়ারম্যান ছিলে সারোয়ার চৌধুরি, যার ৬০ শতাংশ শেয়ার ছিল। আর এই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন মামলার তিন নম্বর আসামি ইমাম হাসান, যার মালিকানা ছিল ৬০ শতাংশ।
আরও পড়ুন:
» ভারতকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলতে পারল না বাংলাদেশ
» কানপুরে চালকের আসনে ভারত, হার এড়াতে পারবেন শান্তরা?
সারোয়ার চৌধুরীর দাবি, ২০২৩ সালে মাশরাফি ও তার লোকজন মিলে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার জোরপূর্বক নিয়ে নেন। মামলার এজাহারে তিনি এমনটাও উল্লেখ করেছেন যে, মামলার দুই নাম্বার আসামি হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্র মাশরাফির কার্যালয়ে বসে তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দেন।
হেলাল বিন ইউসুফের মাধ্যমেই মাশরাফির সঙ্গে পরিচয় হয় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ও ব্যবসায়ী সারোয়ারের। এই দুজনের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেড নামের জয়েন্ট স্টক কোম্পানির নিবন্ধন করিয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সের স্বত্ব কিনে নেন। তবে ২০২৩ সালে তাদের অধীনের বিপিএল খেলার পর ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে শুরু হয় দ্বন্দ্ব।
সারোয়ারের দাবি, ২০২৩ সালের আগস্টে মাশরাফির উপস্থিতিতে সারোয়ারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক শেয়ার অন্যদের নামে লেখিয়ে নেওয়া হয়। তাকে ভয় দেখানোর জন্য ১০ থেকে ১৫ জন যুবকও আনা হয়েছিল। এমনকি তার পরিবারকেও হত্যার ভয় দেখানো হয়েছিল। যার কারণে দেশ ছেড়ে চলে যান তিনি।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩০সেপ্টেম্বর২৪/বিটি