বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে নাম লিখিয়েছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। আইসিসির বার্ষিক পর্যালোচনা এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে নির্বাচন করা হয়েছে। ওয়াসিম খানের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের নির্বাচক কমিটি এলিট প্যানেলের সদস্য হিসেবে সৈকতকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এছাড়া প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে শরফুদ্দৌলা সৈকত আইসিসি বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করেছেন। গেল ভারত বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচে দায়িত্ব পালন অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ব্রিসবেন টেস্টেও নিরপেক্ষ আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তবে সৈকতের কাছে যেন ঘরের মাঠে আম্পায়ারিং করা বেশি চাপের মনে হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার আইসিসির কাছ থেকে সুসংবাদ পাওয়ার পর এক সাক্ষাৎকারে নিজের আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারের গল্প বলেন সৈকত। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘বিদেশের মাটিতে অনেকগুলো ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছি। তবে সেখানে খুব একটা চাপ অনুভব করিনি, যেটা দেশের মাটিতে করতে হয়।’
একজন বাংলাদেশি হিসেবে দেশের মাটিতে আম্পায়ারিং এর ক্ষেত্রে অনেক সময় কিছু সিদ্ধান্ত পক্ষপাতমূলক মনে হতে পারে। যার কারণে সমালোচনাও হতে পারে। সৈকত মনে করেন কখনও কখনও তাদের সিদ্ধান্তের কারণে ম্যাচের ফলাফল কিছুটা এদিক সেদিক হয়। যেটা ম্যাচের এবং আম্পায়ারিংয়ের একটা অংশ হিসেবে দেখেন তিনি।
সৈকত বলেন, ‘হয়তো আমাদের কাছ থেকে অনেক এক্সপেক্টেশন থাকে, তবে আমরা যখন মাঠে যাই তখন আমাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হয়। তবে কখনো কখনো সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা ভুল হতে পারে। তবে এটা নিয়ে অনেক বেশি প্রতিক্রিয়া হয়। তাই বিদেশের তুলনায় দেশের মাটিতে আম্পায়ারিং করা অনেক বেশি কঠিন।’
শরফুদ্দৌলা এখন পর্যন্ত ১০ টেস্ট, ৬৩ ওয়ানডে এবং ৪৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নারী ক্রিকেটে ১৩ ওয়ানডের পাশাপাশি ২৮ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে ছিলেন তিনি। এছাড়া ২০১৭ এবং ২০২২ নারী বিশ্বকাপেও আম্পায়ারিং করেছিলেন সৈকত। ২০১৮ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলাকে বিশাল সুসংবাদ দিলো আইসিসি
ক্রিফোস্পোর্টস/২৯মার্চ২৪/এফএএস