
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার পতনের পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনও রয়েছে কিছুটা অস্থির অবস্থায়। যা নিয়ে এখনও উদ্বিগ্ন বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা- আইসিসি। কেননা চলতি বছরই বাংলাদেশের মাটিতে হওয়ার কথা রয়েছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে আয়োজক স্বত্ব ধরে রাখতে বাংলাদেশের সামনে আছে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ।
বিসিবি সূত্রে জানা গিয়েছিল বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের পূর্বে দুটি বিষয়ে নিশ্চিত হতে চায় আইসিসি। যার মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকতে হবে। এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে, ‘ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা’ যাতে না থাকে। মূলত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলোয়াড়, কোচ আম্পায়ার ও কর্মকর্তাসহ সকলের যাতায়াত মসৃণ রাখতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে দেশের নতুন সরকার। তবে এরই মাঝে উদ্বেগের কথা জানিয়ে নিজ দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া চার দেশ। যার মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য (ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ড), ভারত এবং নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজনে এই বিষয়টি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিভিন্ন দেশের এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বা নাগরিকদের নিরুৎসাহিত করার বিষয়ে জাতিসংঘের সহায়তা নেয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের সদ্য দায়িত্ব প্রাপ্ত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব। তিনি মনে করেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কেবল সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার তুলতে পারে। যেখানে বোর্ডের হস্তক্ষেপ সামান্যই থাকে। ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
গতকাল রোববার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো মন্ত্রণালয়ে অফিস করে আসিফ মাহমুদ জানান, ‘কিছু দেশ নাগরিকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এবং তাই আমরা জাতিসংঘের সাথে কথা বলব। নিরাপত্তা ও অবকাঠামো সংক্রান্ত কিছু সমস্যা রয়েছে, আমরা এ বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূসের (প্রধান উপদেষ্টা) সাথে কথা বলব। তিনি একজন ক্রীড়াপ্রেমী এবং আশা করি তিনি বিষয়টি সমাধান করতে পারবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যে কাজগুলো চলমান রয়েছে, সেগুলো যাতে দ্রুত শেষ করা যায় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর বিসিবির বিষয়ে বলতে চাই, তারা যেহেতু একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, আমরা তো আর তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। আমরা তাদেরকে পরামর্শ দিতে ও নিতে পারব। আর বিসিবি সভাপতি অনুপস্থিত আছেন। অবশ্যই একটা সংস্থাকে কাজ করতে হলে সবার উপস্থিতি প্রয়োজন।’
সম্ভব হলে আইসিসির আইন মেনে অন্তর্বর্তীকালীন কাউকে নিয়োগ দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি, ‘সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যেহেতু তিনি অনুপস্থিত আছেন, তাই আমরা বিসিবির পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আইসিসির আইন মোতাবেক যা করার, তাই করবেন। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া যায় কি না সেই বিষয়টিও দেখতে বলেছি।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তান সিরিজের দল ঘোষণা, সাকিবসহ আছেন যারা
ক্রিফোস্পোর্টস/১১আগস্ট২৪/এফএএস
