আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর। অন্যবারের তুলনায় এবারের আসরকে আরও আকর্ষণীয় ও জমজমাট করে তুলতে নতুন নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এবারের আসরে থাকছে নতুন নতুন চমক। সেই ধারাবাহিকতায় আজ (রোববার) উন্মোচন করা হয়েছে এবারের বিপিএল মাস্কাট।
অনুষ্ঠানে বিসিবি বস ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন বিপিএল নিয়ে নিজের ভাবনার কথা।
তিনি বলেন, আমরা বিপিএল’কে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই।
মাস্কাট উন্মোচন অনুষ্ঠানটি ছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ এর অংশ। যেখানে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া, বাফুফে সভাপতি তাবিথ আওয়াল ও বিসিবির পরিচালকরা। এছাড়াও ছিলেন নারী ও পুরুষ জাতীয় দলের একাধিক তারকা ক্রিকেটারসহ অনেক শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন :
» জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক, এশিয়া কাপের সেমিতে বাংলাদেশ
» আইপিএল-২০২৫ : মেগা নিলাম শেষে কে কোন দলে?
» ক্রিকেটে বোলিং অ্যাকশন কি, চাকিং যে কারণে মানা
মাস্কাট উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিসিব সভাপতি ফারুক আহমেদ। এসময় তিনি বলেন, আমরা বিপিএলের মধ্য দিয়ে তারুণ্যকে জাগ্রত করতে চাই। বিপিএলকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা বিপিএলের আগের আসরগুলোর তুলনায় কিছুটা ভিন্নভাবে আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছি। শুরুটা আমাদের ভালোভাবেই হয়েছে। এবার শেষটাও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে চাই।
এসময় বিপিএল আসর চলাকালে কোনো বিশেষ অতিথি থাকবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ফারুক আহমেদ বলেন, বিপিএল চলাকালে বিদেশ থেকে বেশকিছু গণমান্য ব্যক্তি আসবেন। কে বা কারা আসবেন সেটা প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে ঠিক করা হবে।
আগামীতে নারী বিপিএল আয়োজন করা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিসিবি সভাপতি বলেন, দেখুন আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নারী ক্রিকেটকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। ইতোমধ্যেই আমরা নারীদের অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটও চালু করেছি। নারী ক্রিকেটকে আরও উন্নত সুযোগ-সুবিধা প্রদানের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, নারী বিপিএল আয়োজন একটা চমৎকার আইডিয়া। তবে আমাদের আগে দেখতে হবে বিপিএল করার সক্ষমতাটা আছে কি না। যদি সক্ষমতা তৈরি হয় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো নারী বিপিএল আয়োজনের।
ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা ছেলেদের বিপিএলকে আরও উন্নত এবং শক্তিশালী পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই প্রথম বিপিএল এবং হয়তো এই পরিচালনা কমিটির শেষ বিপিএলও এটাই। তবে আমরা থাকি আর না থাকি, আগামী বছর যারাই থাকুক তারা যেন দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে সেটাই প্রত্যাশা। বিপিএলের ফ্রাঞ্চাইজিগুলো যেন লম্বা সময়ের জন্য থাকে সেটা যেন নিশ্চিত করা হয়। ২-১ মৌসুম পর পর ফ্রাঞ্চাইজি পরিবর্তন হলে সেটা টুর্নামেন্টের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
এবারের আসরের মাস্কাটটির নাম রাখা হয়েছে ডানা-৩৬। যার গড়নে ফুটে উঠেছে স্বাধীনতা, শান্তি, মুক্তি, তারুণ্য, প্রাণবন্ততা, উৎসব এবং সীমাহীন সম্ভবনা। ডানা শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে পাখা অর্থে যা মুক্তি ও স্বাধীনতাকে প্রকাশ করে। আর এই ডানার স্বপ্নময় চোখে এবং উজ্জ্বল হাসিতে রয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের আনন্দ এবং মাঠের খেলার অফুরন্ত সম্ভাবনা।
ক্রিফোস্পোর্টস/১ডিসেম্বর২৪/এসআর/এসএ