বল টেম্পারিংয়ের দায়ে অধিনায়কত্বের আজীবন নিষিদ্ধ হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড (সিএ) এই শাস্তি দিয়েছিল এই ওপেনারকে। এছাড়াও ১ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তাকে। এরপর ক্রিকেটে ফিরলেও তার নেতৃত্বে নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল।
টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর ওয়ার্নারের ওপর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
২০১৮ সালে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠে ওয়ার্নার উপর। এ চক্রে ওয়ার্নারের সঙ্গে ছিলেন স্টিভ স্মিথ ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট। বল টেম্পারিংয়ের সত্যতা প্রমাণ পেলে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন স্মিথ এবং ওয়ার্নার।
অন্যদিকে ৯ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিলেন ব্যানক্রফটকে । ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ওয়ার্নার ও স্মিথকে অধিনায়কত্ব থেকে নিষিদ্ধ করেছিল দেশটি ক্রিকেট বোর্ড। দুই বছরের জন্য অধিনায়কত্বে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন স্মিথ। তবে অধিনায়কত্বে ওয়ার্নারকে আজীবন নিষিদ্ধ করেছিল অস্ট্রেলিয়া।
ওয়ার্নার অবশ্য সেই সময় শাস্তি মেনে নিয়েছিলেন। বোর্ডের পূর্ববর্তী আচরণবিধি অনুযায়ী, কোনো শাস্তি মেনে নেয়ার পর এর বিরুদ্ধে আপিল করার কোনো সুযোগ ছিল না ৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের।
পরে সেই নিয়ম পরিবর্তন করেছে সিএ। ফলে তিন সদস্যের পর্যালোচক কমিটি আবেদন করতে হবে অভিযুক্তকে। এতে শাস্তি থেকে মুক্তি বা কমানো যেতে পারবেন তারা। সেই সুযোগটা খুব ভালোভাবে নিয়েছেন ওয়ার্নার। চলতি মাসের শুরুতে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ৩৭ বছর বয়সী সাবেক ওপেনার এবং নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য শর্ত পূরণও করেছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ বিপিএলে ভালো পারফর্ম করে জাতীয় দলে ফিরতে চান সাব্বির
ক্রিফোস্পোর্টস/২৫ অক্টোবর ২৪/এইচআই