বিশ্বকাপে বাংলাদেশের নাকানিচুবানি খাওয়ার বিষয়টা তো এখন সবারই জানা। নেদারল্যান্ডসের কাছে হারের পর সাকিবও বলেছিলেন, ২০২৩ বিশ্বকাপকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ বললেও তার কোন দ্বিমত থাকবে না। দ্বিমত করার আসলে জায়গাও নেই। সাকিবের এই কথাতেই স্পষ্ট এবারের আসরে হাথুরু শিষ্যরা কতটা বাজে খেলেছে।
অথচ এক বছর আগেও অন্ততঃ ওয়ানডেতে সমীহ করার মতই দল ছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডে সুপার লীগেও তিন নম্বরে থেকে বিশ্বকাপে এসেছিল লাল সবুজ বাহিনী। এরপর দ্বিতীয় মেয়াদে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কোচ হয়ে আসা এবং সাকিবের ক্যাপ্টেনসি নেয়ার পর থেকেই জাতীয় দলে সব ওলট-পালট হয়ে গেছে। সেমির স্বপ্ন নিয়ে ভারতে আশা টাইগার শিবির এবার শেষ আটে থেকে দেশে ফিরতে পারলেই যেন বাঁচে!
জাতীয় দলের সাবেক পেসার তারেক আজিজ এ বিষয়ে বলেন,’ এক এক কোচের কোচিং দৃষ্টিভঙ্গি থাকে এক এক রকম। আমার কাছে কোনো কোচকেই খারাপ মনে হয় না। তবে আমার পরিকল্পনা নির্ভর করবে আমার ছাত্ররা কেমন তার উপর। আমার মনে হয় দ্বিতীয় বার হাথুরুকে ফিরিয়ে আনা যেমন ঠিক হয়নি, তেমনি ঘন ঘন কোচ পাল্টানোর প্রক্রিয়াটাও। এটা আমাদের দলের জন্যও ভালো হয়নি।’
‘জাতীয় দলের কোচ সাধারণত দুই বছরের জন্য নিয়োগ পান। ফলে বোর্ডও তাকে মূল্যায়ণ করে ম্যাচে তার দলের ফলাফলের ভিত্তিতে। তাই কোচও ইতিবাচক ফলাফল পেতেই সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। দলের ডেভেলপমেন্ট প্রক্রিয়ার দিকে তারা এগোতে চান না।’
তারেক আজিজ আরো জানান, ‘আমাদের দলের জন্য “ম্যান ম্যানেজমেন্ট” এ ভালো এমন একজন কোচ দরকার। হাথুরু ট্যাক্টিক্যালি ভালো তবে ওর ম্যান ম্যানেজমেন্ট এ সমস্যা আছে বলে মনে হয়। ও যে কোন মূল্যে জিততে চায় কিন্তু যাদের নিয়ে তার পরিকল্পনা তাদের সক্ষমতার বিষয়টিও তো আপনার মাথায় রাখতে হবে। এমনটা করতে গেলে সেটা হবে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের আয় কত টাকা?
ক্রিফোস্পোর্টস/৩নভেম্বর২৩/এমএস/এজে