গতকাল বুধবার ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) ঘটেছে এক বিরল ঘটনা। এদিন ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে বারবাডোজ রয়্যালস এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল। খেলা চলাকালীন হটাৎ করেই ফ্লাডলাইট বন্ধ হয়ে গেলে দুই ঘন্টা খেলা বন্ধ থাকে। এতেই কপাল পুড়ে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের। দলটির অল-রাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এদিন প্রথম ইনিংসের শেষ দিকে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামের ছয়টি ফ্লাডলাইটের তিনটি বন্ধ হয়ে যায়। তখন ১৯.১ ওভারে ১৬৮ রান ত্রিনবাগোর স্কোর বোর্ডে জমা হয়েছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটরক্ষক ব্যাটার নিকোলাস পুরান ৯১ রানে খেলছিলেন। সেঞ্চুরির জন্য তার মাত্র ৯ রান দরকার ছিল। পুরানের সঙ্গে ব্যাট করছিলেন এন্দ্র্রি রাসেল। ত্রিনবাগোর আরও কিছু রান তোলার সুযোগ থাকলে বৈরী পরিবেশের কারণে পারিনি।
দুই ঘণ্টা পর খেলার পরিবেশ তৈরি হলে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন (ডিএলস) নিয়মে পাঁচ ওভারে বারবাডোজ রয়্যালসের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৬০ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খাই বারবাডোজ। ডি কক ফেরেন মাত্র ২ রান করে। এরপর ডেভিড মিলার ঝড়ো ইনিংসে ৪ওভার দুই বলেই লক্ষ্য মাত্রায় অতিক্রম করে বারবাডোজ। মিলার মাত্র ১৭ বিলে ৫০ রান করে অপরাজিতা থাকেন।
আরও পড়ুন: আজ ফ্রান্স হারলেই ফাইনালে মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা
খেলা শেষে ইনস্টাগ্রামে এক বার্তায় আন্দ্রে রাসেল অভিযোগ করেন, ‘আমি এমন মানুষ না যে ইন্টারনেটে ক্ষোভ ঝাড়বো। এবারের সিপিএলে আমরা ডাকাতির শিকার হয়েছি। লাইট পরিস্থিতি ছিল চুরি , এরপর ৩০ বলে ৬০ রান ছিল আরও বড় ডাকাতি।’
এ বিষয়ে ত্রিনবাগোর অধিনায়ক কাইরন পোলার্ডও হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট খেলতে গিয়ে কেউ কেউ চোট পেলে আমাদের প্রত্যেকের সেটা খারাপ লাগতো। নিয়মের মধ্যে থেকে ম্যাচ শেষ করার পরিস্থিতি ছিল এবং সেটা করলে শেষ পর্যন্ত ফলাফল আমাদের দিকেই আসতে পারতো।’
ক্রিফোস্পোর্টস/০৩ অক্টোবর ২৪/এইচআই