চলতি আইপিএলে বিরাটের ব্যাটে রান আসছে প্রায় সব ম্যাচেই। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বাধিক রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে আছেন এই ভারতীয় ব্যাটার। তবে খুব একটা সুবিধা করতে পারছি না তার দল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আসরে এখন পর্যন্ত খেলা পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হেরেছে বিরাট কোহলিরা।
গেল রাজস্থান ম্যাচে ৬৭ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেছিলেন বিরাট কোহলি। শেষ পর্যন্ত এদিন খেলেছেন ৭২ বলে ১১৩ রানের এক ইনিংস। তবে বিরাটের সেই সেঞ্চুরি ম্লান হয়ে যায় রান তাড়া করতে নেমে জস বাটলার ৫৮ বলে পাল্টা সেঞ্চুরি তুলে নিলে। সেঞ্চুরি করেও বিরাট সেদিন সমালোচিত হয়েছিলেন দলকে জেতাতে না পারায় এবং আইপিএল ইতিহাসের সবথেকে দীর্ঘগতির সেঞ্চুরি করায়।
তবে আইপিএলের গোটা আসরে এখন পর্যন্ত এক সেঞ্চুরি ও দুই ফিফটিসহ বিরাট কোহলি এখন পর্যন্ত করেছেন সর্বোচ্চ ৩১৬ রান। এই রান তিনি করেছেন ১৪৬.২৯ স্ট্রাইকরেটে। তবে এরপরও দল ভালো না করায় ব্যক্তি বিরাটের স্ট্রাইকরেট নিয়ে করা হচ্ছে বিভিন্ন সমালোচনা। তবে বিরাটের এই স্ট্রাইকরেট খুব একটা খারাপ ভাবে দেখছেন না ব্রায়ান লারা।
চলমান আইপিএলে ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করা ক্যারিবীয় কিংবদন্তী ব্রায়ন লারা ওপেনারদের স্ট্রাইকরেট নিয়ে বলেন, ‘একজন ব্যাটারের স্ট্রাইকরেট নির্ভর করে মূলত তাঁর ব্যাটিং পজিশন ও ম্যাচের পরিস্থিতির ওপর। ১৩০ কিংবা ১৪০ স্ট্রাইকরেট একজন ওপেনারের জন্য যথেষ্ট ভালো। মিডল অর্ডারে নামলে সেটা ১৫০ থেকে ১৬০ হওয়া উচিত।’
ওপেনার হিসেবে বিরাটের স্ট্রাইকরেট প্রসঙ্গে লারা বলেন, ‘আইপিএলে আমরা দেখছি, ইনিংসের শেষ দিকে ২০০ স্ট্রাইকরেটে রান তুলছে ব্যাটাররা। কিন্তু বিরাট ওপেন করছে। তার মতো একজন ওপেনার ১৩০ স্ট্রাইকরেটে শুরু করলেও পরে ১৬০ বা তার চেয়েও বেশি স্ট্রাইকরেটে রান তোলার ক্ষমতা রাখেন, যা ঠিক আছে।’
বিশ্বকাপে বিরাটের থাকার সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় বিরাট-রোহিত ওপেনিং জুটি ভারতের জন্য় খুবই ভালো হবে। তবে আমি চাইব, শুরুতে একজন তরুণ থাকুক। মিডল অর্ডারে থাকুক একজন অভিজ্ঞ ব্য়াটার। তারা ইনিংসের আকার দেবে। আমি বিরাট-রোহিতকে প্রথম তিনে দেখতে চাই।’
আরও পড়ুন: রিয়াল-ম্যানসিটির ম্যাচে আজ এগিয়ে যাবে কে?
ক্রিফোস্পোর্টস/৯এপ্রিল২৪/এফএএস