কিছু দিন আগে আসন্ন প্যারিস অলিম্পিকে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে মেসি ও ডি মারিয়া খেলতে পারেন বলে গুঞ্জন উঠেছিল। বিষয়টি এমন ছিল, আর্জেন্টিনা দল যদি বাছাইপর্বের বাঁধা টপকে প্যারিসে জায়গা করে নিতে পারেন তাহলেই মেসি ও ডি মারিয়াকে অলিম্পিকে খেলতে দেখা যাবে। ইতোমধ্যেই আর্জেন্টিনা তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারিয়ে অলিম্পিকে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছে।
২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে মেসি-ডি মারিয়াদের হাত ধরে প্রথমবারের মত অলিম্পিকে স্বর্ণ পদক জিতেছিল আর্জেন্টিনার যুবারা। সেবার ফাইনালে মেসির বাড়ানো বলে থেকে ডি মারিয়ার গোলেই পদক ছিনিয়ে নিয়েছিল তারা। ১৬ বছর পরে ২০২৪ অলিম্পিকে এসেও সে রকম কিছু দৃশ্যায়নেরই আভাস দিয়েছিলেন ২০০৮ সালে আর্জেন্টিনার অলিম্পিক দলের স্বর্ণ পদক জয়ী ফুটবলার ও বর্তমান যুব দলের কোচ হ্যাভিয়ের মাশ্চেরানো। কিন্তু গুঞ্জন থাকলেও ইতোমধ্যেই ডি মারিয়া প্যারিসে খেলার ব্যাপারে না করে দিয়েছেন। তবে মেসি এখনো বিষয়টি নিয়ে ‘হ্যা বা না’ এমন কিছু বলেননি। মেসি এ ব্যাপারে পরে তার সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে অবহিত করেছেন।
সাবেক আলবিসেলেস্তে মিডফিল্ডার ও বর্তমান যুব দলের কোচ মাশ্চেরানো বলেন, ‘অলিম্পিকে অনূর্ধ্ব-২৩ দল খেললেও সেখানে যেহেতু তিন জন সিনিয়র ফুটবলার খেলতে পারবেন তাই মেসিদের জন্যেও এই দরজা খোলা।’
আসন্ন কোপা আমেরিকা খেলে ফুটবলকে বিদায় জানানোর ঘোষণা ডি মারিয়া আগেই দিয়ে রেখেছেন। তবে এই উইঙ্গার তার বিদায়ের সময় জানিয়ে দিলেও মেসি এখনো অবসরের বিষয়ে পরিস্কার করে কিছু জানাননি৷ তাই লিওকে খেলানোর সুযোগ হাত ছাড়া করতে চাননি মাশ্চেরানো। মেসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে অলিম্পিকে খেলার প্রস্তাব দিয়েছেন মেসির সাবেক সতীর্থ মাশ্চেরানো। টিওয়াইসি স্পোর্টসের কাছে বিষয়টি মাশ্চেরানো নিজেই জানান, ‘আমি মেসির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেছি। এমএলএসে তার নতুন মৌসুম সবেমাত্র শুরু হয়েছে আর অলিম্পিকেরও এখনো কয়েক মাস বাকি আছে। লিও কিছুটা সময় চেয়েছে এবং আমরা এ বিষয়ে আবারও কথা বলার ব্যাপারে এক মতে পৌঁছেছি।’
সামনে যেহেতু কোপা আমেরিকাও শুরু হবে আর কোপা আমেরিকা ও অলিম্পিকের মধ্যে তেমন একটা সময়ের পার্থক্য নেই, তাই এই বিষয়টিও মাথায় রাখছেন মাশ্চেরানো। এটাও উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সামনে কোপা আমেরিকার খেলাও আছে। তাই দু’টি টুর্নামেন্টে খেলার মত শারীরিক সামর্থ্য লিওর আছে কিনা সেদিকেও নজর রাখতে হবে আমাদের। কেননা কাজটি মোটেই সহজ হবে না। লিওর জন্য অলিম্পিকের দরজা সব সময়ই খোলা। তার জন্য আমাদের যা যা করতে হয় করবো। তবে তার ক্লাবের দিকটিও মাথায় রাখতে হবে। ইন্টার মায়ামি ও এমএলএসের জন্য মেসির উপস্থিতি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।’
অপরদিকে ডি মারিয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে মাশ্চেরানো বলেন, ‘আনহেল (ডি মারিয়া) আমার কল পেয়ে বিষয়টির প্রতি সম্মান দেখিয়েছে। তবে সে অলিম্পিকে খেলতে আগ্রহী নয় বলে জানিয়েছে। তার জায়গায় সে তরুণদের জায়গা করে দিতে বলেছে। তাই তাকে আমরা পরিকল্পনায় রাখিনি।’
আরও পড়ুন: ২০২৪—২৬ ও ২৮ অলিম্পিক কখন-কোথায়?
ক্রিফোস্পোর্টস/৭মার্চ২৪/এমএস/এমটি