শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজয় বরণ করেছে বাংলাদেশ। টাইগার ব্যাটারদের মধ্যে কেউই তেমন রানের দেখা পাননি সে ম্যাচে। ফলে লঙ্কানদের কাছে তেমন পাত্তাই পায়নি টাইগাররা। আগামী রবিবার (৩০ মার্চ) সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
তবে বাংলাদেশের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর, চট্টগ্রাম টেস্টে দলে ফিরেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দীর্ঘ পাঁচ মাস পর আবারও বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামবেন সাবেক টাইগার কাপ্তান। সাকিবের অন্তর্ভুক্তিতে বাংলাদেশ দলের যে দলগত শক্তি আগের থেকে কিছুটা হলেও বাড়বে এতে কোনো সন্দেহ নেই। এরপরও সিলেট টেস্টে লঙ্কানদের কাছে পাত্তা না পাওয়া বাংলাদেশ চার দিন পরের চট্টগ্রাম টেস্টে কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে?
দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ দলের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা কতটুকু বা কিভাবেই বা ঘুরে দাঁড়াতে পারে এসব নিয়ে দেশের এক গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও ক্রিকেট বিশ্লেষক মোহাম্মদ আশরাফুল। সাবেক টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যা খেলেছি এর চেয়ে খারাপ আর হতে পারে না। আমরা সাধারণত খুব খারাপ খেলার পর ভালো খেলি। খারাপের পরই তো ভালো আসে।’
দ্বিতীয় টেস্টে সাকিবের অন্তর্ভুক্তিতে দলের অবস্থার কতটুকু উন্নতি সম্ভব এমন প্রশ্নে আশরাফুলের জবাব, ‘সাকিবের ফিরে আসায় যে রাতারাতি সব পরিবর্তন হয়ে যাবে, আমার কাছে এমনটা মনে হয় না। সাকিব নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর আর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেই নি। শুধু টেস্ট খেলেছে সেখানে অবশ্য তার কয়েকটা ফিফটি আছে। আসলে দলগতভাবে ভালো খেললেই এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব। প্রত্যেককে নিজের জায়গা থেকে নিজের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দিতে হবে। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে সবার উন্নতি করতে হবে। তাহলেই দলগতভাবে বাংলাদেশ আরও ভালো করতে পারবে। শেষ ম্যাচে মুমিনুল ৮০ এর বেশি রান করেছিল৷ তার সঙ্গে আরেকজন ব্যাটার এমন ইনিংস খেলতে পারলে দলীয় রান আরও বেশি হতো।’
প্রথম টেস্টের প্রথম সেশনে উভয় দলকেই স্ট্রাগল করতে দেখা গেছে। পরে শ্রীলঙ্কান ব্যাটাররা পরিস্থিতি সামাল দিলেও টাইগার ব্যাটিং লাইন আপ তা আর সামাল দিতে পারনি। এ নিয়ে আশরাফুল বলেন, ‘সিলেট টেস্টের প্রথম সেশনে আমরা এবং শ্রীলঙ্কা উভয় দলই স্ট্রাগল করেছে। এমন পরিস্থিতি থেকে উৎরাতে হলে কেমন এ্যাপ্রোচে আগাতে হবে, কোন মানসিকতা এ্যাপ্লাই করতে হবে সেটা খেলোয়াড়দেরই ঠিক করতে হবে।’
‘খেলার পরিস্থিতি বিবেচনায় একেকজনের খেলার ধরণ একেক রকম থাকে। কেউ আক্রমণাত্বক খেলে প্রতিপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করে। কেউ আবার ধরে খেলে বড় ইনিংস গড়ার চেষ্টা করে। এটা আসলে নিজেদের পরিকল্পনার উপর নির্ভর করে’ – যোগ করেন অ্যাশ।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় টেস্টের আগে দুঃসংবাদ পেল লঙ্কান শিবির
ক্রিফোস্পোর্টস/২৮মার্চ২৪/এমএস/এমটি