দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই দেখতে মুখিয়ে ছিল গোটা ফুটবল বিশ্ব। তবে রোমাঞ্চকর এই ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই সংবাদের শিরোনাম হয় মারাকানা স্টেডিয়ামে উপস্থিত সমর্থকদের সংঘর্ষ। দুই সমর্থক গোষ্ঠীর হাতাহাতিতে যোগ দেয় স্থানীয় পুলিশ। গ্যালারির উত্তাপ ছড়িয়েছিল মাঠেও। এক পর্যায়ে নিজ দেশের সমর্থকদের ওপর হামলার ক্ষোভে মাঠ থেকে উঠে পড়েন আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা।
ম্যাচের আগে আর্জেন্টিনার জাতীয় সংগীত চলাকালে দুয়ো দিতে থাকে ব্রাজিল সমর্থকরা। এর প্রতিবাদে আর্জেন্টাইন সমর্থকরা বিবাদে জড়ায় সেলেসাও সমর্থকদের। এতে করেই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। একপর্যায়ে সংঘর্ষ এড়াতে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের ওপর লাঠিচার্জ করে নিরাপত্তারক্ষীরা।
গ্যালারিপানে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন দু’দলের ফুটবলাররা। তবে প্রাথমিকভাবে ব্যর্থ হয়ে মাঠ ছেড়ে লকাররুমে চলে যান আর্জেন্টিনা দলের ফুটবলাররা। পরবর্তীতে ম্যাচ শুরু হয়েছিল নির্ধারিত সময়ের আধা ঘন্টা পর।
🚨🇦🇷 Leo Messi after game: “We saw how the police were hitting people also with some of our families here — it also happened in the Libertadores final”.
“They are more focused on that than on playing the game”.
“We are a family. We decided to play to make situation more calm”. pic.twitter.com/YnVzbyAH3g
— Fabrizio Romano (@FabrizioRomano) November 22, 2023
ম্যাচ শেষে ক্ষুব্ধ হয়ে মেসি গণমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘আমরা দেখেছি পুলিশ কিভাবে মানুষের ওপর চড়াও হচ্ছিল। আমাদের পরিবারেরও বেশ কজন সদস্য সেখানে ছিল। এর আগেও কোপা লিবার্তাদোরেসের ফাইনালে একই কাজ করেছে তারা (ব্রাজিলের পুলিশ)। মাঠে খেলার চেয়ে এসবেই তাদের বেশি মনোযোগ থাকে।’
তবে পরিস্থিতি যাতে আরো খারাপ না হয় সেজন্য তারা ম্যাচটি খেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এ বিষয়ে মেসি আরো বলেন, ‘আমরা একটা পরিবার। পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টায় আমরা ফের মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’
ম্যাচের আগে স্বাগতিকদের এমন আচরণের পর উত্তাপ ছড়ায় খেলার মাঠেও। এক লাল কার্ডসহ ৪২ টি ফাউলের দেখা মেলে এই ম্যাচে। তবে দিনশেষে ব্রাজিলকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ হাসিটা হাসে আলবিসেলেস্তারাই।
আরও পড়ুন: মারাকানায় মারামারির পর স্তব্ধ ব্রাজিল, শেষ হাসি আর্জেন্টিনার
ক্রিফোস্পোর্টস/২২নভেম্বর২৩/এসএফ/এজে