আধুনিক ক্রিকেটে অসংখ্য নতুন নিয়ম যুক্ত করেছে খেলাটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। সময়ের প্রয়োজনে, কিংবা ক্রিকেটের উন্নয়নে এসব সংযোজন করা হচ্ছে। ডিআরএস থেকে রিভিউ এমন অনেক পদ্ধতি খেলাটিকে স্বচ্ছ করেছে। তবে মুদ্রার উল্টো পিঠের মতো এমন অনেক নিয়ম বিতর্ক ছড়িয়েছে। এর মধ্যে ‘ডেড বল’ বিতর্ক অন্যতম। অনেকের মনে প্রশ্ন- ক্রিকেটে ডেড বল কি? এটি খেলায় কতটা প্রভাব ফেলে?
এর উত্তর খুঁজতে আগে চাক্ষুষ একটি ঘটনা টেনে আনা যায়— ১০-০৬-২০২৪ তারিখ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার গ্রুপ পর্বের সেই ম্যাচটি। যুক্তরাষ্ট্রের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে ম্যাচের শেষ মুহূর্তটি ছিল টান টান উত্তেজনার। ১৭তম ওভারে প্রোটিয়া পেসার ওটনিল বার্টম্যানের বল স্ট্রাইকে থাকা মাহমুদুল্লাহর পায়ে লেগে ফাইন লেগ অঞ্চল দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে চলে যায়।
তবে বল বাউন্ডারি অতিক্রম করার আগেই এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার আউট দিয়ে দেন। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার সেই আবেদনটি পূর্ণ আবেদনও ছিল না। পরে ব্যাটার রিভিউ নিলে দেখা যায় বল স্টাম্পেই আঘাত করেনি। ফলে আম্পায়ার তার সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন। আর এখানেই নিয়মের বেড়া জালে থমকে যায় বাংলাদেশ। আম্পায়ার যেহেতু প্রথমে আউট দিয়েছিলেন তাই বলটি ‘ডেড বল’ হয়ে যায়, ফলে লেগ বাই থেকে চার রান পায়নি টিম বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:
» আম্পায়ারিং নিয়ে হৃদয়ের হতাশা প্রকাশ
» বিতর্কিত আইনেই বাংলাদেশের হার, বলছেন ওয়াকার ইউনুস
» টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কারা?
কী বলছে ডেড আইন?
ডেড বল সংক্রান্ত ক্রিকেটের যে আইন সেটা আম্পায়ারের রায়কেই সমর্থন দেয়। ২০.২ ধারায় বলা আছে, ম্যাচে ডেড বল নির্ধারণের ক্ষমতা কেবল আম্পায়ারের। বল শেষ পর্যন্ত মীমাংসা (ওই ডেলিভারির খেলা) হয়েছে কি না, সেটি আম্পায়ার সিদ্ধান্ত নেবেন।
এছাড়া আরেকটি ধারায় (২০.১.১.১) বলা হয়েছে, বল তখনই ডেড হবে যখন তা উইকেটরক্ষক অথবা বোলারের হাতে জমা পড়বে।
এ ধারায় আরও বলা আছে, বোলিং প্রান্তের আম্পায়ার যখন বুঝতে পারবেন, ব্যাটসম্যান ও ফিল্ডিং দলের খেলা থেমেছে তখনই সেটা ডেড বল হয়ে যাবে।
এছাড়াও ২০.১.১.৩ ধারায় বলা হয়েছে, যে মুহূর্তে বলের সাপেক্ষে আউটের সিদ্ধান্ত আসবে ঠিক সেই মুহূর্ত থেকেই সেটি ডেড বল ঘোষণা করা হবে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১১জুন২৪/এমএস/এসএ