ফ্রাঞ্জাইজি ক্রিকেটের সর্বাধিক জনপ্রিয় সংস্করণ ভারতের আইপিএল৷ নামী-দামি তারকা ক্রিকেটারদের পাশাপাশি দেখা মেলে ব্যাটে-বলের ধুন্ধুমার লড়াই৷ ব্যক্তিগত ইনিংসের পাশাপাশি এমন সব দলীয় ইনিংস দেখা যায়, যা শুধু মানায় ওয়ানডে ক্রিকেটের সঙ্গে৷ হরহামেশাই দলগুলো পৌঁছে যায় ২০০ রানের চৌকাঠে। আবার ২০০ রানও অহরহ চেজ করে নেয় দলগুলো। আইপিএলে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড কত?
আইপিএলে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড কত?
রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বনাম পুনে ওয়ারিয়র্স—২০১৩
২৩ এপ্রিল, ২০২৩৷ দিনটি আইপিএলের ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে৷ এদিন বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাট করে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ঘরের মাঠে ওপেনার ক্রিস গেইলের দানবীয় ব্যাটিংয়ে তুলোর মতো উড়ে যায় পুনে ওয়ারিয়র্সের বোলাররা৷ রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ৫ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান সংগ্রহ করে। আইপিএলের ইতিহাসে যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস৷ দলের হয়ে ক্রিস গেইল ১৩টি চার ও ১৭টি ছয়ে ৬৬ বলে ১৭৫* রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া এবি ডি ভিলিয়ার্স খেলেন ৮ বলে ৩১ রানের ঝড় ইনিংস৷
জবাবে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রানে থেমে যায় পুনে ওয়ারিয়র্সের ইনিংস৷ ১৩০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস বনাম পাঞ্জাব কিংস—২০২৩
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর রেকর্ড ভাঙার খুব কাছাকাছি চলে আসে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। ২০২৩ আইপিএলে মোহালিতে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান সংগ্রহ করে লক্ষ্ণৌ৷ দলটির হয়ে ৪০ বলে ৭২ রানের ঝড় ইনিংস খেলেন মার্কস স্টয়নিস। অন্যদিকে ১৯ বলে ৪৫ রান করেন নিকোলাস পুরান৷ যা আইপিএলের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস৷
জবাবে পাঞ্জাবও দারুণ শুরু করে। কিন্তু নির্ধারিত ওভার শেষে ২০১ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস৷ লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বোলার নাবিন-উল হক ও ইয়াস ঠাকুর নেন ৭ উইকেট৷ ৫৬ রানের ব্যবধানে জয় পায় লক্ষ্ণৌ।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বনাম গুজরাট লায়ন্স—২০১৬
ওয়ানডে ক্রিকেটের এক ইনিংসে দুই সেঞ্চুরি দেখেছেন। তবে টি-টোয়েন্টিতে এক দুই ইনিংসে দুই সেঞ্চুরি দেখেছেন কখনো? ২০১৬ আইপিএলে এমন বিরল রেকর্ড দেখা যায়। এবারও সেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু৷ গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে এদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দাঁড় করায় ২৪৮ রানের পাহাড়সম রান। যা এখন পর্যন্ত আইপিএলের তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস৷ শুরুতে ক্রিস গেইলকে হারালেও রানের চাকা সচল রাখে দলটি৷ অধিনায়ক ভিরাট কোহলি ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের রেকর্ড ২২৯ রানের পার্টনারশিপে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় বেঙ্গালুরু৷ ব্যাট হাতে ভিরাট কোহলি ৫৫ বলে খেলেন ১০৯ রানের ইনিংস, অন্যদিকে ডি ভিলিয়ার্স খেলেন ৫৫ বলে ১২৯ রানের ঝড় ইনিংস৷
জবাবে ১৮.৪ ওভারে মাত্র ১০৪ রান করেই গুটিয়ে যায় গুজরাট লায়ন্স৷ ১৪৪ রানের বিশাল জয় পায় বেঙ্গালুরু৷
চেন্নাই সুপার কিংস বনাম রাজস্থান রয়্যালস—২০১০
আইপিএলের সবচেয়ে সফল দল চেন্নাই সুপার কিংসের অধীনে রয়েছে আইপিএলের চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংসের রেকর্ড। ২০১০ আইপিএলে ঘরের মাঠে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় চেন্নাই৷ দলটির হয়ে ৫৬ বলে ১২৭ রানের ঝড় ইনিংস খেলেন ওপেনার মুরালি বিজয়৷
জবাবে রাজস্থানও পাল্টা আক্রমণ করে। কিন্তু মাত্র ২৩ রান দূরে থাকা অবস্থায় থেমে যায় রাজস্থান রয়্যালসের ইনিংস৷ নোমান ওঝার ৫৫ বলে ৯৪ ও শেন ওয়াটসনের ২৫ বলে ৬০ রানেও জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারেনি দলটি৷ রাজস্থান সংগ্রহ করে ২২৩ রান৷ ফলে ২৩ রানে জয় পায় চেন্নাই সুপার কিংস।
কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম পাঞ্জাব কিংস—২০১৮
২০১৮ আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। যা এখন পর্যন্ত আইপিএলের পঞ্চম সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস৷ দলটির হয়ে ওপেনার সুনিল নারিন খেলেন ৩৬ বলে ৭৫ রানের ইনিংস।
জবাবে পাঞ্জাবও লক্ষ্যে পৌঁছানোর দৌঁড়ে ছিল৷ কিন্তু নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রানে পাঞ্জাবের ইনিংস থেমে যায়৷ ফলে ৩১ রানের ব্যবধানে জয় পায় কলকাতা নাইট রাইডার্স।
আরও পড়ুন: প্র্যাকটিসে বল লাগলো মাথায়, মাঠ ছেড়ে হাসপাতালে মুস্তাফিজ
ক্রিফোস্পোর্টস/১৮ফেব্রুয়ারি২৪/টিএইচ/এসএ