ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জ্যামাইকায় দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে খুব একটা প্রত্যাশিত রান করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। এরপরও নাহিদ-হাসান মাহমুদদের অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ১৮ রানের লিড নিয়েছে টাইগাররা। এতে করে বাংলাদেশ শিবিরে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে তরুণ পেসার নাহিদ রানার বিধ্বংসী বোলিংয়ে ১৪৬ রানেই গুটিয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা। এতে করে ১৮ রানের লিড নিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ।
ইতোমধ্যে ৫ উইকেটে ১৯৩ রান নিয়ে ৩য় দিনের খেলা শেষ করেছে টাইগাররা। বাকি ৫ উইকেট হাতে নিয়ে যত বেশি রান যোগ করতে পারবে তত বেশি লিড যোগ হবে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে।
আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টায় চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হবে। ইতোমধ্যে ৩য় দিন শেষে ২১১ রানের লিড নিয়েছে সফরকারীরা। বর্তমানে ক্রিজে আছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলি অনিক এবং তাইজুল ইসলাম। জাকের ২৯ এবং তাইজুল ৯ রানে অপরাজিত আছেন। এছাড়া শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখনও ব্যাটিংয়ে আসেননি মুমিনুল হক। আজ নামতে পারেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
আরও পড়ুন:
» আইসিসি থেকে সুখবর পেল বাংলাদেশের মেয়েরা
» ফিফপ্রো বিশ্ব একাদশ : সংক্ষিপ্ত তালিকায় মেসি-রোনালদো
তৃতীয় দিন শেষে চালকের আসনে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত টাইগাররা ম্যাচটি জিততে পারবে কি না সেটা নিয়ে আছে নানান প্রশ্ন? যদিও এসব কিছু অনেকটা নির্ভর করছে জাকের-তাইজুলদের চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনের খেলার ওপর। যদি এই সেশনটা উইকেট না হারিয়ে রানের গতি বাড়িয়ে নিতে পারে তাহলে খুব সহজেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে সফরকারীরা।
তবে পরিসংখ্যান কথা বলছে বাংলাদেশের পক্ষে। কেননা জ্যামাইকার এই পিচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জিততে হলে গড়তে হবে রেকর্ড। এই মাঠে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড হলো ২১১ রান। যা ২০০৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছিল স্বাগতিকেরা। তবে সেই রান ইতোমধ্যেই স্কোরবোর্ডে যোগ করেছে বাংলাদেশ। ফলে এই রান তাড়ায় জয় পেতে হলে রেকর্ড গড়া ছাড়া উপায় নেই ক্যারিবিয়ানদের।
জ্যামাইকার পিচে শেষ ইনিংসে গড় রান ১৪৯। এদিকে বাংলাদেশের বর্তমান লিড ২১১ রান। এত করে বোঝা যায় চতুর্থ ইনিংসের গড় রানের গণ্ডি পেরিয়ে অনেকটা এগিয়ে আছে বাংলাদেশ দল। তবে ক্রিকেটকে বলা হয় অনিশ্চয়তার খেলা। যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো কিছু ঘটে যেতে পারে। ফলে বাংলাদেশ লিড যত বাড়িয়ে নিতে পারবে ততই মঙ্গল। তাহলেই বোলাররা নিজেদের লড়াইটা ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারবে।
এই টেস্ট জিততে বাংলাদেশকে চতুর্থ ইনিংসে নির্ভর করতে হবে পেসারদের উপর। বিশেষ করে তরুণ পেসার নাহিদ রানার ওপর। নিজের অ্যাগ্রেশন দিয়ে আরও একবার গতির ঝড় তুলতে প্রস্তুত আছেন এই পেসার। যা উপভোগ করতে মুখিয়ে আছেন ক্রিকেট রোমান্টিকরা। এই টেস্টে বাংলাদেশের জয় মানে তো ক্রিকেটের ‘চিরন্তন নায়ক’ পেসারদের জয়।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩ডিসেম্বর২৪/এসআর/বিটি