ভারতের বোলিং ইউনিটে এক ভরসার প্রতীক হয়ে দাড়িয়েছেন মোহাম্মদ শামি। বিশ্বকাপে শুরুর কয়েক ম্যাচে জায়গা না পেলেও পরবর্তী ম্যাচগুলোতে প্রমাণ করে দিয়েছেন কেন তিনি ভারতীয় একাদশে থাকার যোগ্য। বিশ্বকাপে মাত্র ৬ ম্যাচ খেলেই স্থান করে নিয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায়।
প্রতিটি খেলোয়াড়ের জীবনেই উত্থান-পতন থাকে। আর একজন খেলোয়াড় যখন খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যায় তখন সে জায়গা থেকে কিভাবে কামব্যাক করতে হয় তার উদাহরণ হিসেবে দাড় করানো যেতে পারে মোহাম্মদ শামিকে। স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর শামির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে। যার ফলে ভারতীয় দলে অনিয়ত ছিলেন তিনি।
এশিয়া কাপে দলে থাকলেও একাদশের জায়গা পাননি নিয়মিত। তাছাড়া বিশ্বকাপেও কিছুটা ভাগ্যের জোরেই জায়গা পেয়েছেন তিনি। হার্দিক পান্ডিয়ার চোট আর শার্দূল ঠাকুরের ছন্দহীনতা একাদশে সুযোগ করে দেয় শামিকে। আর একাদশে ফিরেই নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন ৩৩ বছর বয়সী এই পেসার।
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলে ২৩ উইকেট নিয়েছেন শামি। যার মধ্যে ৫ উইকেট নিয়েছেন ৩ বার। আর গতকাল সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একাই নেন ৭ উইকেট, যা বিশ্বকাপের ইতিহাসের নক-আউট ম্যাচে সর্বোচ্চ। তাছাড়া বিশ্বকাপে মাত্র ১৭ টি ম্যাচ খেলেই ৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি।
বিশ্বকাপের প্রথম ৪ ম্যাচে সুযোগ না পেলেও এই নিয়ে কোন আক্ষেপ করেননি শামি। তিনি বলেন, আমি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। আর সুযোগ পেয়েই তা কাজে লাগাতে পেরেছি।
বিশ্বকাপে এই সফলতার রহস্য সম্পর্কে শামি বলেন, ‘ওয়ানডে ক্রিকেটে সবাই বিভিন্ন ভেরিয়েশনের কথা বলে। কিন্তু আমি মনে করি, ঠিক জায়গায় বল রাখতে পারলেই উইকেটের দেখা মিলবে। আর নতুন বলে উপরের দিকে বল রেখেই উইকেট শিকারে সফলতা এসেছে আমার।’
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের থেকে বাংলাদেশকে শিখতে বললেন বীরেন্দ্র শেবাগ
ক্রিফোস্পোর্টস/১৬নভেম্বর২৩/এমটি