সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরেছে টাইগার ক্রিকেটাররা। তবে এরই মধ্যে ফ্রাঞ্চাইজি লিগ খেলার লক্ষ্যে উড়াল দিয়েছে একাধিক ক্রিকেটার। বিশ্রামে নেই সাকিব আল হাসানও। মেজর লিগ ক্রিকেট খেলতে গতকাল যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। প্রথমবারের মতো এই লিগে লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলবেন সাকিব।
আইপিএলের দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন সাকিব। সেই দলেরই মালিকানায় থাকা আরেকটি ক্লাব মেজর লিগের এই লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্স। তাই নাইট রাইডার্সের ডেরায় ফিরে এটিকে নিজের ‘সেকেন্ড হোম’ বলে আখ্যায়িত করলেন সাকিব। গতকাল গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি, যেখানে উঠে এসেছে বিশ্বকাপ ব্যর্থতার প্রসঙ্গও।
মেজর লিগ ক্রিকেটে খেলতে দেশ ছাড়ার আগে নাইট রাইডার্সে ফেরার অনুভূতি জানাতে গিয়ে সাকিব বলেন, ‘অবশ্যই ভালো। যেটা সবসময় আমার কাছে সেকেন্ড হোমের মতো লাগে। সবাই নিজেদের লোক, পরিচিত। কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে সবাই। স্বাভাবিকভাবেই অন্যরকম একটা উত্তেজনা তো কাজ করেই। আশা করি সর্বোচ্চ দিয়ে পারফর্ম করার।’
বিশ্বকাপের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়েও কথা বলেছেন তিনি, ‘ব্যাটারদের জন্য কঠিন ছিল। আমি দেখলাম না কাউকে ধারাবাহিকভাবে ভালো করতে। অন্যান্য প্রতিটি বিশ্বকাপেই ২-৩ জন ধারাবাহিকভাবে ভালো করে। তবে এই বিশ্বকাপে তা দেখিনি। হয়ত এক ম্যাচ দুই ম্যাচ ভালো খেলেছে, দলগুলো এভাবেই জিতেছে। যে যেদিন পারফর্ম করেছে সেই জিতিয়ে নিয়েছে।’
‘যেহেতু বড় স্কোরের ম্যাচ ছিল না। আমরাও এক-দুজনের অবদানে জিতেছি। যেগুলো জিতিনি হয়ত ওরকম বড় কন্ট্রিবিউশন ছিল না।’ এদিকে সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ কাজে লাগাতে না পারার আফসোসের কোথাও জানালেন সাকিব, ‘হ্যাঁ এটা একটা বড় আফসোস। এটা হলে খুব ভালো লাগত, খুব বড় অর্জন হতো। সেদিক থেকে আমাদের জন্য দুঃখজনক।’
বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় কোথায় ঘাটতি ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে- কোচ, অধিনায়ক আর বোর্ডকেই এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি, ‘এটা তো আসলে বলা মুশকিল। নীতিনির্ধারক, কোচ, ক্যাপ্টেন, দলের যারা পার্ট, ক্রিকেট অপারেশন, বোর্ড তারাই আলোচনা করে বুঝতে পারবেন ঘাটতি কোথায় ছিল, এবং ভবিষ্যতে যাতে ঘাটতি না থাকে সে অনুযায়ী কাজ করার।’
আরও পড়ুন: কলম্বিয়ার বিপক্ষে ড্র করেও কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল
ক্রিফোস্পোর্টস/৩জুলাই২৪/এফএএস