অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। হুট করে তার এমন সিদ্ধান্তে দেশের ক্রিকেট পাড়ায় চলছে নানান আলোচনা। তবে সাকিব বলছেন, পরিকল্পিতভাবেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরেই প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরম্যান্স করতে পারছেন না সাকিব। ৩৭ বছরে পা রাখা এই তারকার পক্ষে নিয়মিত তিন ফরম্যাটে খেলে যাওয়াটাও কষ্টসাধ্য। তাছাড়া চোখে কম দেখা সহ একাধিক ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করে খেলে যাচ্ছেন তিনি। তবে তিনি হয়ত বুঝেছেন এখনই সময় দু-একটি ফরম্যাটকে বিদায় জানানোর। আর এজন্যই সবকিছু চিন্তা ভাবনা করে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন এই অলরাউন্ডার।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কানপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দেন সাকিব। ফলে ভারতের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজে দেখা যাবে না তাকে। তবে কানপুর টেস্টের পর অক্টোবরে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট দিয়ে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন তিনি।
আরও পড়ুন:
» শেয়ারবাজার ও মামলা ইস্যুতে মুখ খুললেন সাকিব
» ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে যা বললেন সাকিব
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি খেলেছিল বাংলাদেশ। আর এটাই ছিল বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি জার্সিতে সাকিবের শেষ ম্যাচ। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমি টি-টোয়েন্টি তে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছি।’
টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানো প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত অ্যাভেইলেবল। দেশে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা নিয়ে বিসিবির সঙ্গে আমি আলোচনা করেছি। তাদেরকে আমার পরিকল্পনা জানিয়েছি। আমি হোম সিরিজটা দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে থেকে বিদায় নিতে চাই। ফারুক ভাই ও নির্বাচকদের বিষয়টা জানিয়েছি। যদি সুযোগ থাকে দেশে ফেরার, তাহলে মিরপুর টেস্ট হবে আমার শেষ টেস্ট।’
তবে সাকিবের নামে মামলা থাকায় তা দেশে ফেরা নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। তাই দেশে ফিরতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছেন এই টাইগার অলরাউন্ডার। এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘দেশে গিয়ে আমি যেন ঠিকমতো খেলতে পারি এবং নিরাপদ অনুভব করি। আমার যখন দেশের বাইরে আসার প্রয়োজন হবে, তখন যেন কোনো সমস্যা না হয়। এ নিয়ে বোর্ড কাজ করছে। তারা হয়ত আমাকে একটা সিদ্ধান্ত জানাবেন, যার ভিত্তিতে আমি দেশে গিয়ে ভালোভাবে খেলে টেস্ট ফরম্যাট থেকে যেন বিদায় নিতে পারি।’
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও ওয়ানডে ক্রিকেট খেলে যাবেন সাকিব। তবে আগামী বছর পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে পারেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৬সেপ্টেম্বর২৪/বিটি