খেলোয়াড়দের রাজনীতিতে যোগদান নতুন কিছু নয়। পাকিস্তানের ইমরান খান, ভারতের মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন, গৌতম গম্ভীর, শ্রীলঙ্কার অর্জুনা রানাতুঙ্গার মতো তারকারা রাজনীতিতে যোগদান করেন। তবে তারা পেশাদার ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।
তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং সাকিব আল হাসান। তারা জাতীয় দলে থাকা অবস্থায় রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। এতে করে দেশের ক্রিকেট ভক্তদের দ্বারা প্রতিনিয়ত কড়া সমালোচনার স্বীকার হচ্ছেন এই দুই ক্রিকেটার।
জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের রাজনীতিতে জড়ানো নিয়ে কথা বলেছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। খেলা চালিয়ে যাওয়া অবস্থায় কোনো খেলোয়াড়ের রাজনীতিতে যোগদান করার করার পক্ষে নন তিনি।
আরও পড়ুন:
» মুস্তাফিজকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা দিল চেন্নাই
» যে কারণে পাকিস্তান থেকে সরে যেতে পারে ইংল্যান্ড সিরিজ
ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমার মনে হয় খেলা চালিয়ে যাওয়া অবস্থায় কারো রাজনীতিতে যোগদান করা উচিত নয়। কেউ চাইলে অবসরের পর রাজনীতিতে যোগ দিতে পারে। তবে পেশাদার খেলোয়াড়দের এসব পেশাদারিত্বের অভাবে স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি হয়। আমি এটা নিয়ে আগেও বলেছি।’
এছাড়া খেলোয়াড়দের বিজ্ঞাপন করা নিয়েও অনেক অভিযোগ রয়েছে। এমন কিছু বিজ্ঞাপন যেগুলো আইন বিরুদ্ধ, বিশেষ করে বেটিং সাইটের বিজ্ঞাপন। খেলোয়াড়দের এমন বিজ্ঞাপন করা নিয়ে নির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা উচিত বলে মনে করেন আসিফ মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু বিজ্ঞাপন আছে যেগুলো মানুষের বিপক্ষে যায় এবং আইন বিরুদ্ধ না। বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশ থেকেই কয়েকজন ক্রিকেটারের নামে বেটিং ব্যবসার অভিযোগ আছে। আমি মনে করি এটা নিয়ে একটা নির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা উচিত। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে বিসিবি একটা নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারে।
ক্রিফোস্পোর্টস/৬সেপ্টেম্বর২৪/বিটি