
গত কয়েকদিন ধরে নানান ইস্যুতে উত্তাল দেশের ক্রিকেট। ডিপিএলের ক্রিকেটার-আম্পায়ার ইস্যু নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। এবার এই ইস্যুতে বিসিবির সঙ্গে মিটিংয়ে বসেছেন তামিম ইকবাল। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার।
আজ শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) বিসিবির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তামিম। এ সময় ক্ষোভ ঝাড়েন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। বিসিবির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তামিম।
সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা। ডিপিএলে আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। এরপর মোহামেডানের আবেদনের পর শাস্তি কমিয়ে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে দেয় আম্পায়ার্স কমিটি। তবে আম্পায়ার্স কমিটির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত হন আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত।
আরও পড়ুন:
» পিএসএল থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে দিচ্ছে পাকিস্তান
» গুরুত্বপূর্ণ জয়ের দিনে কোহলির নতুন মাইলফলক
এই ক্ষোভ থেকে বিসিবির চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা জানান সৈকত। তবে সৈকতের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু এবং বৈঠক শেষে বিসিবির চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ান আইসিসির এলিট প্যানেলের এই আম্পায়ার। একইসঙ্গে হৃদয়ের যে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছিল সেটি নতুন করে বলবৎ করা হয়। বিসিবির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছেন তামিমরা।
এ বিষয়ে তামিম বলেন, ‘আজকের এই একত্রিত হওয়ার পেছনে মূল কারণ হলো—গত দুই-তিন-চার মাসে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনাবলি। প্রতিটি খেলোয়াড়ের মনে এ নিয়ে প্রশ্ন ছিল, অনেকেই এ নিয়ে বেশ হতাশ। আমি কয়েকটি বিষয় তুলে ধরতে চাই। প্রথমত, তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে মাঠে একটি ঘটনা ঘটে, যার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। তখন কেউই এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি। আমরা খেলোয়াড়েরাও কোনো কথা বলিনি।
‘কিছুদিন পর দেখি ওই নিষেধাজ্ঞা দুই ম্যাচ থেকে এক ম্যাচে কমিয়ে আনা হয়েছে। সেটিও ছিল বিসিবির সিদ্ধান্ত। তখনো আমরা কিছু বলিনি। গতকাল আবার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কোন নিয়মে এটা হলো, কীভাবে হলো, তা আমার জানা নেই। এটা অত্যন্ত হাস্যকর এবং কোনোভাবেই এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা মেনে নেওয়া যেতে পারে না।’- তিনি যোগ করেন।
আরও পড়ুন:
» পিএসএলে এবার ভিন্ন দিন দেখলেন রিশাদ হোসেন
» মে-জুনে ১০ টি-টোয়েন্টি খেলবেন শান্ত-রিশাদরা
এছাড়া ডিপিএলে ফিক্সিং ইস্যুতেও বিসিবির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে তামিম বলেন, ‘কিছু দিন আগে গুলশান ও শাইনপুকুরের মধ্যকার ম্যাচে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা বোর্ডকে স্পষ্টভাবে জানিয়েছি, সেখানে যদি কোনো দুর্নীতি হয়ে থাকে কিংবা কোনো খেলোয়াড় এর সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে সবাই চাই যে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। এ বিষয়ে আমরা সবাই একমত।’
‘কিন্তু এর মানে এই নয় যে, দুজন খেলোয়াড়কে সামনে এনে মিডিয়ার সামনে অভিনয় করাবেন। বিশ্বের কোনো অ্যান্টি-করাপশন নিয়ম বা নীতিমালায় এমন নিয়ম নেই। একজন খেলোয়াড়কে এভাবে প্রকাশ্যে হেয় করা ক্রিকেটারদের জন্য অসম্মানের। আমরা এই আচরণে মোটেই সন্তুষ্ট নই।’- তিনি যোগ করেন।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৫এপ্রিল২৫/বিটি
