
গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি হয়তো ভুলবেন না বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকরা। কেননা সেই ম্যাচে হেরেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া হয় টাইগারদের। আর শান্তদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো সেমিতে উঠেছিল আফগানিস্তান। সেই ম্যাচ শেষে অবশ্য আলোচনা হয় গুলবাদিন নাইবের এক কর্মকাণ্ড নিয়ে।
যেখানে দেখা যায় ম্যাচে বাংলাদেশ বৃষ্টি আইনে পিছিয়ে রয়েছে ২ রানে। এদিকে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বৃষ্টির, তখন স্লিপে থাকা গুলবাদিন আচমকা লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। পায়ে টান লাগা বা ক্র্যাম্পের কথা বলে সময় অতিবাহিত করেন তিনি। যা ম্যাচের মোর ঘোরাতে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। অবশ্য পরে এই আফগান ক্রিকেটারই ম্যাচ জিতে দৌঁড়েছেন সব থেকে দ্রুত।

গুলবাদিন নাইবের ইনজুরির মুহূর্ত।
এতে করে আলোচনা ওঠে ম্যাচে প্রভাব ফেলতে নাটক করেছেন তিনি। এবার সেই বিষয়ে খোলা মেলা কথা বললেন গুলবাদিন এবং উইকেটরক্ষক ব্যাটার গুরবাজ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলাকালে গতকাল আইসিসির প্রকাশিত এক ভিডিওতে গুলবাদিন অবশ্য আকারে ইঙ্গিতে স্বীকার করেছেন, ঘটনা তেমন ছিল না, যা ছড়িয়েছে।
মজার ছলে হাসতে হাসতে তিনি বলেছেন, ‘খুবই উত্তেজনাপূর্ণ ছিল ম্যাচটি। এরই মাঝে আমার কিছুটা সমস্যা হয়। যদিও সেটাকে বড় ইস্যু বানিয়েছে লোকজন। আমার জন্য অবশ্য ভালোই হয়েছে। ম্যাচশেষে অনেক তারকা অভিনেতা আমাকে বার্তা পাঠিয়েছিল। সবাই বলছিল, আমি হলিউডে কাজ করতে পারি।’
আরও পড়ুন:
» ইংল্যান্ড-আফগানিস্তান ম্যাচসহ আজকের খেলা (২৬ ফেব্রুয়ারি ২৫)
» পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখছেন হরভজন
গুলবাদিনকে পাশে রেখেই তিনি হাসতে হাসতে গুরবাজ বলেন, ‘তার চোট ছিল নাকি অভিনয় আমি আসলে নিশ্চিত নই। আসলে ক্র্যাম্প ছিল তাই না? তখন সে নিজেই জানায় তার ক্র্যাম্প হয়েছে। আমরা কেউই নিশ্চিত নই। মানুষ এ নিয়ে মজা নিচ্ছে। হয়তো সে চোটই পেয়েছিলেন। কারণ এটা তার শরীর। আমরা কিছু জানি না। কিছুটা অভিনয়ও হতে পারে। মাঝেমধ্যে ব্যাটিং, বোলিং কিংবা ফিল্ডিং ছাড়া আপনাকেও দলের প্রয়োজন পড়ে।’
গুরবাজ আরও জানান, ‘মজার বিষয় হলো, গুলবাদিন ক্র্যাম্প হওয়ার ৩-৪ মিনিট পর অন্যদের চেয়ে দ্রুতগতিতে দৌড় শুরু করেন। এটি মজার ও আশ্চর্যের ঘটনা। আমিও সেই একই চিকিৎসকের কাছে যেতে চাই। আমার যখন চোট পেয়েছিল, আমাদের যিনি চিকিৎসক ছিলেন তিনি আমাকে দৌড়ানোর জন্য প্রস্তুত করতে পারেননি।’
ক্রিফোস্পোর্টস/২৬ফেব্রুয়ারি২৫/এফএএস
