ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন অঙ্গনে রদবদল চলছে৷ রদবদলের হাওয়া আছড়ে পড়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গণেও৷ তবে আত্মগোপনে রয়েছেন সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এতে অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট।
তবে অন্তবর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও বোর্ড সভাপতি সংক্রান্ত আইসিসির নিয়ম-কানুনের কারণে নতুন বিসিবি প্রধান নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি।
দেশের ক্রিকেটের এমন অস্থিরতার সময়ে বাংলাদেশে আসন্ন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন পড়েছে শঙ্কার মুখে৷ ক্রিকেট বোর্ডে অস্থিরতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বকাপ সরিয়ে বিকল্প ভেন্যু ভাবছে আইসিসি। ইতোমধ্যে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ভারত, শ্রীলঙ্কা ও আরব-আমিরাতের কাছে প্রস্তাব করেছে আইসিসি৷
আরও পড়ুন :
» সালাউদ্দিন ও কিরণের পদত্যাগ চেয়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম
» চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচসহ আজকের খেলা (২০ আগস্ট ২৪)
» আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দল থেকে বাদ পড়লেন মেসি
তবে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে আইসিসির প্রস্তাবকে ‘না’ করে দিয়েছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। এ বিষয়ে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট জয় শাহ জানিয়েছেন,’বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য আমাদের কাছে আইসিসি প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে আমি সরাসরি না করে দিয়েছি৷ বিশ্বকাপের সময়টায় আমরা তখন বর্ষা মৌসুমে থাকবো, তাই তখন সম্ভব নয়৷ তাছাড়া পরের বছর আমরা নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক। তাই আমি এমন কোনো মনোভাব রাখতে চাই না যে, আমরা পরপর দুটি বিশ্বকাপ আয়োজন করছি৷
ভারত-শ্রীলঙ্কা সরে যাওয়ায় আইসিসির একমাত্র গন্তব্য এখন আরব-আমিরাত৷ তবে আরব-আমিরাত ছাড়াও বিশ্বকাপ আয়োজনের আগ্রহ জানিয়েছে জিম্বাবুয়ে। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপের সম্ভাব্য ভেন্যু হতে পারে তারা৷
ঠিক কেন বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে আইসিসি? বিশ্বকাপ আয়োজনে বাংলাদেশের এখন বাধা কোথায়?
মূলত, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে দেশব্যাপী যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে আইসিসি৷ বিশ্বকাপে খেলতে আসবে এমন অন্তত চারটি দেশ এখন পর্যন্ত তাদের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে। এই তালিকায় রয়েছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ভারত। ফলে আগামী ৩ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা ও সিলেটে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন এখন শঙ্কার মুখে৷
যদিও এখনো আশার বানী শোনাচ্ছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমদু সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। আমি এ বিষয়ে তৎপর রয়েছি। আশা করি, নারী বিশ্বকাপ বাংলাদেশের বাইরে যাবে না।
চলমান অস্থিরতা কাটিয়ে দেশের মাটিতেই বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ, সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও অবকাঠামো ইস্যু নিয়ে প্রয়োজনে জাতিসংঘের দারস্থ হবে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত নারী বিশ্বকাপের ভবিষ্যত কি হবে তা আজ জানা যাবে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২০আগস্ট২৪/টিএইচ/এসএ