চলতি ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপে অন্যতম বড় তারকা বনে গেছেন স্পেনের ১৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড লামিন ইয়ামাল। বার্সার বিখ্যাত লা মাসিয়া অ্যাকাডেমী থেকে উঠে আসা এই তরুণ মাত্র ১৬ বছর বয়সেই বার্সার মূল দলে অভিষেক করেছেন। আর এবারের ইউরো আসরে তো স্পেন দলের প্রাণভোমরায় পরিণত হয়েছেন। স্প্যানিশ মাস্টারমাইন্ড লুইস দে লা ফুয়েন্তের অন্যতম সেরা অস্ত্র এই তরুণ।
আগামীকাল রাতে ইউরো ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে স্পেন। আসরে এখনো ৬ ম্যাচ খেলে অপরাজিত তিন বারের চ্যাম্পিয়নরা। এই ছয় ম্যাচেই বেশ কিছু রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন ইয়ামাল। দলের হয়ে ৩ টি অ্যাসিস্ট ও ১ টি গোলও করেছেন। যদিও দলে তার গুরুত্ব এই পরিসংখ্যান দিয়েও বোঝানো সম্ভব নয়।
সব লাইম লাইট নিজের করে নিলেও তার চেয়েও বেশি অবদান রেখেছেন আরেক জন মিডফিল্ডার। এমনকি তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুট জয়ের দৌঁড়েও আছেন। তিনি স্প্যানিশ নাম্বার টেন দানি ওলমো। জার্মান ক্লাব আর বি লাইপজিগে খেলা এই স্প্যানিয়ার্ড ইতোমধ্যেই চলতি আসরে গোল করেছেন ৩ টি। তার নামের পাশে ২ টি অ্যাসিস্টও আছে। অবশ্য ৩ গোল করা হ্যারি কেইন ও মিকুইতাদজেদও তার সঙ্গে গোল্ডেন বুটের দৌঁড়ে টিকে আছেন।
আরো পড়ুন : ভারতকে ছাড়াই মাঠে গড়াবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি?
তবে ইউরোতে ৬ ম্যাচে ৫ গোলে অবদান রেখে স্প্যানিশ ফুটবলে নতুন কীর্তি গড়েছেন ওলমো। স্পেনের হয়ে কোনো মেজর টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলের অবদান রাখা ডেভিড ভিয়ার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন ২৬ বছর বয়সী তারকা। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে মোট ৫ গোলে অবদান রেখেছিলেন ভিয়া।
যদিও চলতি আসরে শুরুর একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়েই শঙ্কায় ছিলেন এই স্প্যানিয়ার্ড। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে বদলি হিসেবে নামলেও ইতালির বিপক্ষে খেলার সুযোগই পাননি। আর কোয়ার্টারে তার ভাগ্য খুলে আরেক মিডফিল্ডার পেদ্রি ইনজুরিতে পড়ায় বদলি হিসেবে মাঠে নামেন। মাঠে এসেই গোল করে দলকে লিড এনে দেন ওলমো। সেমিফাইনালেও গোল করেন তিনি। পুরো আসরে মিনিটপ্রতি গোল ও অ্যাসিস্টের অনুপাতেও তার চেয়ে আর কেউই এগিয়ে নেই। প্রতি ৬৮ মিনিটে তিনি গোলে অবদান রেখেছেন।
ফলে নিয়মিত একাদশে না থেকেও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের দৌঁড়ে ঠিকই টিকে আছেন এই মিডফিল্ডার। তাই আগামীকালের ফাইনালে স্পেনের ইয়ামাল কিংবা নিকোর পাশাপাশি দানি ওলমোর ব্যাপারেও বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ডকে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৩জুলাই২৪/এমএস